বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনই জানেনা যে মুহাম্মদকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল । আজ আপনাদের সেই ঘটনাই বলব । খায়বার এলাকা বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বকরীর মাংসে বিষ মিশিয়ে মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করেন । খানাপিনার প্রতি মুহাম্মদের অত্যধিক লোভ ছিল । আর তাই ইহুদীরা মুসলিমদের শত্রু জেনেও মুহাম্মদ এই জয়নবের কাছ থেকে খানা খাওয়ার লোভ ছাড়তে পারেননি । মুহাম্মদ জয়নবের কাছ থেকে দেওয়া মাংস মুখে দেন এবং বিষাক্রান্ত হন । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি পাবেন-
১. বুখারী শরীফ ৯ম খন্ডের ৫৩৬২ নং হাদীসে,
২. মুসলিম শরীফ ৭ম খন্ডের ৫৫৪২ নং হাদীসে,
৩. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতে ইবনে হিশাম"- এর ২৫৭ পৃষ্টায়,
৪. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায়,
৫. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ"- এর ২য় খন্ডের ২৪৯-২৫২ পৃষ্টায়,
৬. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাত রসূলুল্লাহ"- এর ৫১৬ পৃষ্টায় ।
পাঠকের জানার সুবিধার্তে আমি মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ" থেকে ঘটনাটি সংক্ষেপে তুলে ধরছি ।
খায়বার বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে রান্না করা বকরীর মাংস আনা হয় । জয়নব বিনতে আল হারিসা নামক এক ইহুদী মহিলা তার নিজের একটি বকরী জবাই করে রান্না করেন । তিনি খবর নেন যে মুহাম্মদ বকরীর কোন অংশটি খেতে পছন্দ করেন । তিনি খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে মুহাম্মদ বকরীর সামনের পায়ের অংশটি(foreleg) খেতে পছন্দ করেন । এরপর জয়নব একটি অব্যর্থ বিষ বাছাই করেন । পরে জয়নব বিষ নিয়ে রান্না করা বকরীর পায়ের অংশে এবং কাঁধে বেশী করে মেশালেন এবং অন্যান্য অংশেও স্বাভাবিকভাবে মেশালেন । তারপর এ মাংস মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করা হয় । মুহাম্মদ পরিবেশনকৃত মাংস থেকে পায়ের অংশটি(foreleg) নিয়ে মুখে দেন এবং কিছুটা চিবিয়ে নেন । এরপরই মুহাম্মদ ব্যপারটি বুঝতে পারেন এবং না খেয়ে ছুড়ে ফেলে দেন । ততক্ষনে বিষ মুহাম্মদের মুখগহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে । মুহাম্মদ সেই জয়নবকে তলব করেন । মুহাম্মদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন সে এই কাজটি করেছে । জবাবে জয়নব বলেন, মুহাম্মদ তার পিতাকে হত্যা করেছে, তার চাচাকে হত্যা করেছে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে । আর মুহাম্মদ যদি সত্যিকার অর্থে নবী হয়ে থাকেন তাহলে খাওয়ার আগেই মাংসের টুকরোটি মুহাম্মদকে বিষের উপস্থিতি জানিয়ে দিবে । আর মুহাম্মদ যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে জয়নব সহ অন্যান্য ইহুদীরা মুহাম্মদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন । মুহাম্মদের পাশে বসা বিশর ইবনে আল বারা মাংস মুখে নিয়ে গিলে ফেলেন যার ফলে সে সেখানেই মারা যায় ।
এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩ বছরের মত বিষযন্ত্রণা ভোগ করেন( Ibn Sa'd, vol-2, page-252) ।
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণা নিয়ে যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন এক মহিলা মুহাম্মদকে দেখতে আসেন । মু্হাম্মদ এই মহিলাকে বলেনঃ হে বিশরের মা, তোমার ছেলে বিশরের সাথে খায়বরে আমি যে গ্রাসটি মুখে তুলেছিলাম তার বিষক্রিয়া এখনো আমি অনুভব করছি । আমার প্রাণরগ ফেটে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা ভোগের স্বীকারোক্তিমূলক এই বর্ণনা পাওয়া যাবে -
১. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতুন নবী"- এর ৩য় খন্ডের ৩৫৬ পৃষ্টায়,
২. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায় ।
মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশা বর্ণনা করেছেনঃ "মুহাম্মদ মারা যাওয়ার আগে আমি দেখেছি যে, মুহাম্মদের নিকটে একটি পানির পাত্র থাকত । তিনি পাত্রের ভিতর হাত ঢুকিয়ে এরপর পানি দিয়ে নিজের মুখ মুছতেন এবং বলতেন যে, "হে আমার পালনকর্তা ! আমাকে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য কর । "
( আল তাবারি, ৯ম খন্ড, পৃষ্টা- ১৮১ )
হাদীস থেকে জানা যায় বিষের প্রভাবে মুহাম্মদের পায়ে প্যারালাইসিস অর্থাৎ পায়ে অবশতা চলে এসেছিল । মুহাম্মদ তাঁর চাচাত ভাই আলী ও অন্য এক সাহাবীর কাঁধে হাত রেখে চলাচল করতেন । এসময় মুহাম্মদের পা মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল ( বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
মুহাম্মদ বিষের যন্ত্রণা কমানোর জন্য প্রায় সময় "সূরা ইখলাস", "সূরা ফালাক", "সূরা নাস" পাঠ করে নিজের গায়ের উপড় ফুক দিতেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩৩৭) ।
কিন্তু এতেও মুহাম্মদ বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হলেননা ।
মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা যখন আরো বৃদ্ধি পেল মুহাম্মদ বলেছিল যে, তাকে যেন ৭ কুয়ার পানি এনে তাঁর মাথায় ঢালা হয় যেন তিনি সুস্থ হয়ে আগের মত তাঁর লোকের মাঝে ফিরে আসতে পারেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই । মুহাম্মদ যখন মক্কায় ইসলাম প্রচার করত তখন মক্কার কুরাইশরা কোরানের আয়াতকে বিশ্বাস করতনা । কুরাইশরা বলত যে, মুহাম্মদই কোরানের আয়াত রচয়িতা । কুরাইশদের এ সন্দেহ দূর করার জন্য এ সময় কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত নাজিল হয় যেখানে আল্লাহ বলছেন যে, সে( অর্থাৎ মুহাম্মদ) যদি আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন আয়াত রচনা করত তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের ডানহাত ধরে ফেলত এবং মুহাম্মদের প্রাণরগ(Life Artery) কেটে দিত । এবার এই ৩টি আয়াতের ইংরেজী অনুবাদ দেখুন -
(44) And if he (Muhammad SAW) had forged a false saying concerning Us.
(45) We surely would have seized him by his right hand (or with power and might),
(46) And then we certainly would have cut off his life artery (Aorta).
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণায় যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন আয়েশাকে বলেছিলেন যে, "ওহ আয়েশা, খায়বারে আমি যে(বিষযুক্ত) খাবারটি খেয়েছিলাম সে খাবারের কারণে আমার যেরকম ব্যথা হচ্ছে মনে হচ্ছে কেউ আমার প্রাণরগ(Life Artry) কেটে দিয়েছে ।"(Sahih Bukhari 5:59:713)
তাহলে কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মদই কোরানের রচয়িতা ।
অবশেষে মুহাম্মদ স্ত্রী আয়েশার ঘরে এবং আয়েশার কোলে চোখ বিস্ফোরিত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা নং- ৩৫০) ।
আচ্ছা, চলুন, এবার কিছুক্ষণ কোরান পাঠ করি ।
আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু(কোরান-২:১৭৩)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের প্রতি দয়ালু হলেননা কেন?
আল্লাহ তা’আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন(কোরান-২:১৮০)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগেভাগে জানলেননা কেন?
আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়(কোরান-২:২১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদকে করুণা করলেননা কেন?
আল্লাহ সর্বজ্ঞ(সব জানেন)(কোরান-২:২৬১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগে জানতে পারলেননা কেন?
আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল(কোরান-৮:১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কাফের জয়নবের চক্রান্তের কাছে পরাজিত হলেন কেন?
আল্লাহ সুকৌশলী(কোরান-৮:৭১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহর কৌশল কাফের জয়নবের কৌশলের কাছে পরাভূত হয় কি করে?
তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন(কোরান-৮:৭২)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি দেখলেননা কেন?
তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত(কোরান-৯:১৬)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কেন এই ঘটনাটি আগেভাগে অবহিত হলেননা ?
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল(কোরান-২:১৪৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ এখানে নিজের ক্ষমতা দেখাতে পারলেননা কেন ?
সংগ্রহঃ Rag Pigan
সৌজন্য:- Sourangshu Pal
Home »
» How Muhammad died
How Muhammad died

No comments:
Post a Comment