• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

new 2

আমার যাদবপুরের বাসার পাশের একজন মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে মুসলমান হলেন? তিনি উত্তরে যা বললেন তা হলো------১. আমাদের মূল ধর্মীয় পুস্তক কুরআন তারপর বিশ্বস্ত গ্রন্থ আছে ৬টি সহি হাদিস বই। এর বাইরে যাওয়ার আমাদের উপায় নেই। এতে যা আছে তা মেনে চলাই ইসলাম। যে মেনে চলতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান। তবে আমি হুইন্যা মুসলমান।-------
--এটা কেমন কথা?হুইন্যা মুসলমান আবার কেমন মুসলমান?
তিনি বললেন----মুহাম্মদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থের লেখকদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তারা আরবে গিয়ে তৎকালীন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছে--ক থেকে খ, খ থেকে গ---এভাবে কোনো হাদিস বর্ণনাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০০ জনও আছে।
এইমাত্র বলা কথা শুনে অন্যজন যখন বলে দেখা যায় ভিন্নতা। আর ২০০ বছর আগের কথা-ওমুখ থেকে তমুখ, তমুখ থেকে সমুখ এভাবে ১০০ জনের বর্ণানা সঠিক হয় কি করে তা আমার বোধগম্য নয়। তবুও মানতে হয়-আমি মুসলমান।
২. কুরআনের কথা বলেন-সেটাও ওরকম--মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ওসমানের সময় কুরআন একত্রিত করে পুস্তাকারে করা হয়। সুরাগুলোর নামকরণও নাকি ওসমানের সময় করা হয়। সুরা নাজিলের ক্রমও বর্তমান কুরআনে রাখা হয়নি। ছাগলে কয়েকটি আয়াত খেয়ে ফেলেছিল যা কুরআনে ঢোকানো হয়নি-আয়েশা বলেছে হাদিসে এ কথা। কুরআন নাজিল হইছে মুহাম্মদের অন্তরে। সে মুখ দিয়ে যা বলেছে-তাই আল্লাহর কুরআন বা বাণী। হাতে বা ছাপিয়ে কুরআন পাঠাননি আল্লাহ। তাই আমি আল্লাহকে/জিবরাইলকে/বেহেশত-দোজখ কিছুই দেখিনি। তবু মুসলমান কারণ মুহাম্মদ বলেছে-কুরআন আল্লাহর বানী। এক কথায় বলতে পারেন আমি হুইন্যা মুসলমান বা ইসলামের রোবট।
Share:

new 2

আমার যাদবপুরের বাসার পাশের একজন মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে মুসলমান হলেন? তিনি উত্তরে যা বললেন তা হলো------১. আমাদের মূল ধর্মীয় পুস্তক কুরআন তারপর বিশ্বস্ত গ্রন্থ আছে ৬টি সহি হাদিস বই। এর বাইরে যাওয়ার আমাদের উপায় নেই। এতে যা আছে তা মেনে চলাই ইসলাম। যে মেনে চলতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান। তবে আমি হুইন্যা মুসলমান।-------
--এটা কেমন কথা?হুইন্যা মুসলমান আবার কেমন মুসলমান?
তিনি বললেন----মুহাম্মদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থের লেখকদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তারা আরবে গিয়ে তৎকালীন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছে--ক থেকে খ, খ থেকে গ---এভাবে কোনো হাদিস বর্ণনাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০০ জনও আছে।
এইমাত্র বলা কথা শুনে অন্যজন যখন বলে দেখা যায় ভিন্নতা। আর ২০০ বছর আগের কথা-ওমুখ থেকে তমুখ, তমুখ থেকে সমুখ এভাবে ১০০ জনের বর্ণানা সঠিক হয় কি করে তা আমার বোধগম্য নয়। তবুও মানতে হয়-আমি মুসলমান।
২. কুরআনের কথা বলেন-সেটাও ওরকম--মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ওসমানের সময় কুরআন একত্রিত করে পুস্তাকারে করা হয়। সুরাগুলোর নামকরণও নাকি ওসমানের সময় করা হয়। সুরা নাজিলের ক্রমও বর্তমান কুরআনে রাখা হয়নি। ছাগলে কয়েকটি আয়াত খেয়ে ফেলেছিল যা কুরআনে ঢোকানো হয়নি-আয়েশা বলেছে হাদিসে এ কথা। কুরআন নাজিল হইছে মুহাম্মদের অন্তরে। সে মুখ দিয়ে যা বলেছে-তাই আল্লাহর কুরআন বা বাণী। হাতে বা ছাপিয়ে কুরআন পাঠাননি আল্লাহ। তাই আমি আল্লাহকে/জিবরাইলকে/বেহেশত-দোজখ কিছুই দেখিনি। তবু মুসলমান কারণ মুহাম্মদ বলেছে-কুরআন আল্লাহর বানী। এক কথায় বলতে পারেন আমি হুইন্যা মুসলমান বা ইসলামের রোবট।
Share:

new

মুসলিম ভাইয়েরা,
যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনাদের কোরান,হাদিস,নবির জীবনীগ্রন্থ থেকে আপনাদের কিছু প্রশ্ন করছি । আশা করি উত্তর দিবেন ।
১. আল্লাহ বলেছেন যে অমুসলিম/ কাফের সম্প্রদায় হল বধির, মূক ও অন্ধ( কোরান ২:১৮ )। অথচ বিশ্বের যাবতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মূলে রয়েছে ওইসব অমুসলিমদের অবদান/আবিস্কার ( যেমন - কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এক্স-রে,টিভি,রেডিও, রেফ্রিজারেটর, ক্যামেরা, হ্যালিকপ্টার,এন্টিবায়োটিক ওষুধ, রোগ প্রতিষেধক টিকা ইত্যাদি ) । তাহলে আল্লাহর এমন দাবির ভিত্তি কোথায় ?
২. আল্লাহ বলেছেন তিনি কোরান - এর সংরক্ষক( কোরান ১৫:৯)। আবার হাদিস থেকে জানা যায় যে আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো আয়াত ছাগল খেয়ে ফেলে ( ইবনে মাজাহ, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ১৯৪৪) । এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তাঁর আয়াত ছাগল থেকে রক্ষা করতে পারলেননা ?
৩. নারীরা হল পুরুষদের জন্য শস্যক্ষেত্র ( কোরান ২:২২৩ ) । মুহাম্মদ ছিলেন ১৩ খানা শস্যক্ষেত্রের মালিক । কিন্তু তিনি শুধুমাত্র খাদিজার শস্যক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন করতে পেরেছিলেন । বাকি ১২ টি শস্যক্ষেত্রগুলিতে আল্লাহর রহমত হল না কেন ?
৪. যদি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেই একটি পুত্র সন্তানের ব্যবস্থা হয়ে যায়( কোরান ১৯:২-১০) তাহলে মুহাম্মদ কেন তা না করে উত্তরাধিকারীহীন অবস্থায় মারা গেলেন ?
৫. মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত নবী হলে তাঁর পুত্র ইব্রাহিম (দাসী মারিয়া'র গর্ভে জন্ম নেওয়া অবৈধ সন্তান) মারা যেতনা - এ কথা বলার জন্যে নবী মুহাম্মদ al-Shanba' bint 'Amr al-Ghifariyyah কে তালাক দেন ( al-tabari vol.9,p-136) ! মুহাম্মদের সন্তানদের এভাবে অকাল মৃত্যু হওয়া দেখে আপনার মনেও কি একই ধরনের প্রশ্ন উদয় হয়না ?
৬. মুহাম্মদ কাবাঘরের সামনে দাড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে সাক্ষী রেখে যায়েদকে নিজের পুত্র হিসেবে ঘোষনা দেয়( Misqat,vol-3,p-340 ) । সেই সাথে যায়েদের পূর্ব নাম " যায়েদ ইবনে হারিসা" পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় "যায়েদ ইবনে মুহাম্মদ"। কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ যায়েদের স্ত্রী যয়নবের দেহ সৌন্দর্যে পাগল হয়ে ( al tabari,vol-8,p-1 ) তাকে বিয়ে করার মত দৃষ্টিকটু বিষয়টাকে সর্বসম্মত করার উদ্দ্যেশ্যে আল্লাহকে দিয়ে আয়াত নাজিল করেন ( কোরান- ৩৩:৪,৩৩:৫,৩৩:৩৭ ,৩৩:৪০ ) l প্রশ্ন - একজন আদর্শ মহামানব হতে গেলে এরকম আর কি কি গুনের প্রয়োজন ?
৭. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ হতে জানা যায় যে মুহাম্মদ একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন যার নাম 'আসমা বিনতে নু'মান কিন্দিয়া' । এই মহিলাকে বিয়ে করার পর তার হাতে কুষ্ট রোগ দেখতে পেলে মুহাম্মদ সাথে সাথেই তাকে তালাক দেন ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা ৩৪৪) । এখন প্রশ্ন হল দ্বীনের নবি মুহাম্মদ কেন আগেভাগে এই মহিলার কুষ্টরোগের ব্যাপারে জানলেননা ? এছাড়া আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে এটা জানায়নি ? কোরানে (কোরান- ৩/৪৯) তো আল্লাহ কুষ্ঠ রুগী সুস্থ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । বিয়ের পর আল্লাহ তো চাইলে কুষ্টরোগ ভাল করে দিতে পারতেন । এটা হলে মুহাম্মদকে তালাক দিতে হতনা ।তার মানে কি এই নয় যে মুহাম্মদ নিজেকে নবি দাবি করা বা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করা পুরোটাই বানানো ?
৮. জান্নাত পাওয়ার লোভ দেখিয়ে আত্মঘাতী হামলা করে মানুষ মারার জন্য বলেছেন আল্লাহ ( কোরান ৯:১১১)। আপনি কি এটা সমর্থন করেন ?
৯. কোরানের ১৬:১০৩ আয়াতে আল্লাহ নিজেই স্বীকার করেছেন যে কোরান রচনার জন্য মুহাম্মদকে একজন লোক সাহায্য করত । এই আয়াতে আল্লাহ শুধু এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে সাহায্যকারী লোকটার ভাষা আরবী নয় যেখানে কোরানের ভাষা আরবী । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর বাণী নয় ?
১০. আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দরতম অবয়বে( কোরান ৯৫:৪)। যে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করে সে শয়তানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে( কোরান ৪:১১৯) । এখন প্রশ্ন হল মুসলমানরা কেন কোরানের আয়াত অমান্য করে খৎনা করে ?
১১. আল্লাহ কোরানে ব্যভিচারী হতে নিষেধ করেছেন( কোরান ১৭:৩২) । অথচ -
( ক) আল্লাহ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে সহবাসের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয়( কোরান ৩৩:৫০, আবু দাউদ,৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৫২) ?
(খ) মুহাম্মদ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে যৌনমিলনের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয় ( আবু দাউদ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৬৮,২১৬৯,২১৭০) ?
১২. ইসলামে দাসীদের সাথে সহবাস হালাল(কোরান-৩৩:৫০)। মুহাম্মদ তাঁর দাসী মারিয়ার সংগে যৌনকর্ম করতে গিয়ে ধরা পরে যান যেটাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আল্লাহ কোরানের আয়াত(৬৬/১-৫) পাঠিয়ে দেন। কোরানের এইসব আয়াতগুলির ভাল ব্যখ্যা পাওয়া যায় বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ "তাফসীরে জালালাইন" এর ষষ্ঠ খন্ড,৬০৫ নং পৃষ্টায় । এমন এক লোককে আপনি নিজের জীবনের আদর্শ মেনে নিচ্ছেন কিভাবে?
১৩. হাদিস থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদের অনেক রকমের অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যার দ্বারা তিনি চাঁদকে দুভাগ করেছিলেন । অথচ কাফেররা যখন মুহাম্মদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছু করে দেখানোর দাবী করে তখন আল্লাহ কোরানে বলেন যে মুহাম্মদ একজন সাধারন মানুষ ব্যতিত আর কিছুই নয়( কোরান ১৭:৯০-৯৪ ) । আর তাই মুহাম্মদের পক্ষে এমন কিছু করা সম্ভব নয় । তাহলে কোন কথাটি সত্য ?
১৪. মুহাম্মদের বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থব যথা - আল তাবারি, সীরাত রসুলুল্লাহ, সীরাতুন্নবী, সীরাতে ইবনে হিশাম ইত্যাদি থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদকে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বিষমিশ্রিত বকরির মাংস খাইয়ে দেয় । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি হাদিসেও পাওয়া যায়( বুখারী শরীফ,৯ম খন্ড,হাদিস নং-৫৩৬২; মুসলিম শরীফ,৭ম খন্ড,হাদিস নং-৫৫৪২) । এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হন এবং কয়েকবছর যাবৎ রোগযন্ত্রণা ভোগের পর অত্যন্ত কষ্টদায়কভাবে মৃত্যুবরন করেন ।এই বিষের যন্ত্রনা ভোগের কথা মুহাম্মদ নিজেও স্বীকার করেন( সীরাতুন নবী,৩য় খণ্ড,পৃষ্টা-৩৫৬)। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তার প্রিয় বান্দাকে বিষমিশ্রিত খাবারের ব্যাপারে আগেভাগে সতর্ক করলেননা ? আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে রোগযন্ত্রণা ভোগ করালেন ?
১৫. পূর্বে দেওয়া মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থগুলিতে মুহাম্মদ কতৃক "বনু কুরাইজা" অভিযান এর ঘটনা জানা যায় । এ অভিযানে মুহাম্মদের নির্দেশক্রমে বনু কুরাইজার নিরস্ত্র অধিবাসীদের আটক করে ৭০০- ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে গলা কেটে হত্যা করা হয় । বনু কুরাইজার সুন্দরী নারীদের বন্দী করে মুহাম্মদ নিজের জন্য একটি রেখে বাকিদের অনুসারীদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে দেন ভোগ করার জন্য । আর বাকি বন্দীদের নিকটস্থ বাজারে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রী করা হয় । তাদের সকল সম্পত্তি নবির অনুসারীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়(সীরাতে ইবনে হিশাম,পৃষ্টা-২২৫;sirat rasulullh,p-464) । এসম্পর্কিত ২ টি আয়াত কোরানেও স্থান পায়( কোরান ৩৩:২৬-২৭)। আপনি যদি একজন মানবিক আর বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে মুহাম্মদের এই কাজগুলিকে সমর্থন করবেন ?
১৬. মুহাম্মদের এসব গলাকাটা দেখে আরবের প্রায় সবাই ইসলাম গ্রহন করে । কিন্তু মুহাম্মদ মারা যাওয়ার পর অধিকাংশ মক্কাবাসী ইসলাম ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় । পরে "সুহাইল ইবনে আমের" নামক মুহাম্মদের এক অনুসারী ইসলাম ত্যাগকারীদের শিরঃশ্চেদের ঘোষনা দিলে মক্কাবাসীরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা-৩৬০ ) । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে গলাকাটার ভয়ে তৎকালীন আরবরা ইসলাম গ্রহন করেছিল ?
১৭. মুহাম্মদ তাঁর সমালোচনাকারীদের সহ্য করতে পারতেননা । আর তাই মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের নির্দেশ দিয়ে অনেককে হত্যা করিয়েছেন । হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-
(ক) ১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধ কবি আবু আফাক । মুহাম্মদের অন্যায়ের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ। ( sirat rasulullah,p-675-676)
(খ) ৫ সন্তানের জননী আসমা বিনতে মারওয়ান। নবির অন্যায় কাজের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ । এই হতভাগ্য মহিলাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি তার বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন । (sirat rasulullh, p-675-676)
(গ) কাব বিন আল-আশরাফ । নবি ও ইসলামের সমালোচনা করাই ছিল তার অপরাধ । (sirat rasulullh, p-364-368
(ঘ) আবু রাফে, আব্দুল্লাহ বিন কাতাল ও তার দুই নর্তকী দাসী, আল হুয়াইরিদ বিন নুকাইদ সহ আরো অনেকে ।
প্রশ্ন- শুধুমাত্র সমালোচনা করার জন্য এভাবে মানুষ হত্যা করে,বনু-কুরাইজার মত গনহত্যা ঘঠিয়ে যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত তাকে কি কোনভাবেই শান্তির ধর্ম বা আদৌ কি কোন ধর্ম বলা যায় ?
১৮. মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার উপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপিত হলে সে সমস্যা নিরসনে আল্লাহর আয়াত( কোরান ২৪:১-২০,২৩) নাজিল হতে এক মাসের উপর সময় ব্যয় হয়(বুখারী শরীফ,৮ম খন্ড,হাদিস নং-৪৩৯১)। এ থেকে কি এটাই বোঝা যায়না যে মুহাম্মদ আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন ধরনের আয়াত নাজিল করবেন তা নিয়ে কনফিউজড ছিলেন ?
১৯. আল্লাহ বলেছেন এই "কোরান" আল্লাহর কাছে থেকে নাজিলকৃত, তাই এতে কোন বৈপরীত্য নেই(কোরান-৪:৮২) । অথচ কোরানে প্রচুর আয়াত পাওয়া যায় যেগুলি একটা আরেকটার বিপরীত ।কোরান থেকে নেওয়া বিপরীতধর্মী এই আয়াতগুলি লক্ষ্য করুন আর আয়াত নাম্বারগুলি মিলিয়ে নিন ।
[ক] আল্লাহ কি সর্বজ্ঞ? হ্যা(৪৯:১৬) না(২:১৫৫)
[খ] সঙ্গী বিহীন কি সন্তান ধারন সম্ভব? হ্যা(১৯:২০-২১) না(৬:১০১)
[গ] আল্লাহ কি কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন? হ্যা(২:২৫৯,৪:১৬৪,১৯:২-১০) না(৪২:৫১)
[ঘ] আল্লাহর ১ দিন মানুষের কয়দিনের সমান? ১০০০দিন(২২:৪৭) নাকি ৫০০০০দিন(৭০:৪)
[ঙ] মুহাম্মদ কি লেখাপড়া জানতেন ? না- ( কোরান- ৭:১৫৭ ) হ্যা- (বুখারী শরীফ,৫ম খন্ড,হাদিস নং-২৫১৯ ; কোরান- ৯৬:১-৫, ২৫:৫, ৮৭:৬ )
[চ] ফেরেস্তারা কি কাউকে রক্ষা বা সাহায্য করতে পারে? হ্যা(৪১:৩১) না(২:১০৭)
[ছ] বদর যুদ্ধে কতজন ফেরেস্তা মুহাম্মদকে সাহায্য করেছিল? ৩০০০(৩:১২৪) নাকি ১০০০(৮:৯) নাকি একজনও না(১৫:৮)
[জ] ইবলিশ কি? ফেরেস্তা(২:৩৪) নাকি জ্বিন(১৮:৫০)
[ঝ] আল্লাহ কি আসলেই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল ? হ্যা(১:৩) না(৪:৫৬)
[ঞ] আল্লাহ সবকিছু ক্ষমা করে দেন ? হ্যা(৩৯:৫৩) না(৪:১১৬)
[ট] ফেরেস্তারা কি পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায় ? হ্যা(২:১০২) না(১৭:৯৫)
প্রশ্ন - উপরোল্লিখিত বিপরীতধর্মী আয়াত থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে নাজিলকৃত নয় বরং এটি কোন অল্পজ্ঞানী মানুষের রচনা ?
২০. কোরান নিয়ে প্রশ্ন করলে মুসলমানরা বলে যে তাফসীর পড়লে কোরানের আয়াতের আসল অর্থ জানা যাবে । অথচ আল্লাহ কোরানে বলেছেন যে তিনি কোরানকে সহজ করে দিয়েছেন যাতে সবাই বুঝতে পারে ( কোরান ৫৪:১৭)। তাহলে কোরানের আয়াতের অর্থ বোঝার জন্য তাফসীর বা অন্য কোন বইয়ের প্রয়োজন হয় কেন ?
Share:

Popular Posts

About Me

My photo
Hi Friends, I m Shahadat . This Is My Personal Blog Where I Will Share Tech,News,Offers Of Any Operator and Free Net Tricks. I love to know & share my knowledge with you all. I m Also Simple Böy Like You All and a singer. I am fan of SONU NIGAM. Just Study in Collage. I want past my best time with my friends. All Time Visit Our Site .
Powered by Blogger.

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.