• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ

সালাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ
★★★★★★_★★★★★★
ছহীহ হাদীছের দাবী হল বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করা। নাভীর নীচে হাত বেঁধে ছালাত আদায় করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এর পক্ষে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সবই ত্রুটিপূর্ণ।
(১) عَنْ أَبِىْ جُحَيْفَةَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مِنْ السُّنَّةِ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(১) আবু জুহায়ফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেন, সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতার উপর হাতের পাতা রাখা।[1]
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি নিতান্তই যঈফ। উক্ত সনদে আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক নামে একজন রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ।[2] ইমাম বায়হাক্বী বলেন, ‘উক্ত হাদীছের সনদ ছহীহ বলে প্রমাণিত হয়নি। আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক্ব একাকী এটা বর্ণনা করেছে। সে পরিত্যক্ত রাবী।[3] আল্লামা আইনী হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) বলেন, ‘এর সনদ ছহীহ নয়’।[4] ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২) বলেন, এর সনদ যঈফ’।[5] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[6]
(২) عَنْ أَبِىْ وَائِلٍ قَالَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ أَخْذُ الْأَكُفِّ عَلَى الْأَكُفِّ فِى الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(২) আবী ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতের মধ্যে এক হাত আরেক হাতের উপর রেখে নাভীর নীচে রাখবে।[7]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি নিতান্তই যঈফ। ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوْفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[8] ইবনু আব্দিল বার্র এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।[9] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[10]
(৩) عَنْ أَنَسٍ قَالَ ثَلاَثٌ مِنْ أَخْلاَقِ النُّبُوَّةِ تَعَجُّلُ الْإِفْطاَرِ وَتَأْخِيْرُ السَّحُوْرِ وَوَضْعُ الْيَدِ الْيُمْنىَ عَلَى الْيَدِ الْيُسْرَى فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৩) আনাস (রাঃ) বলেন, তিনটি জিনিস নবীদের চরিত্র। (ক) দ্রুত ইফতার করা (খ) দেরীতে সাহারী করা এবং (গ) ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা।[11]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মুহাদ্দিছ যাকারিয়া বিন গোলাম কাদের বলেন, ‘এই শব্দে কেউ কোন সনদ উল্লেখ করেননি’।[12] মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ‘আমি এই হাদীছের সনদ সম্পর্কে অবগত নই’।[13] উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে না জেনেই অনেক লেখক তা দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক।[14] অবশ্য এ মর্মে বর্ণিত ছহীহ হাদীছে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই।[15]
(৪) عَنْ وَائِلِ ابْنِ حُجْرٍ فِىْ صِفَةِ صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ  قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ  يَضَعُ يَمِيْنَهُ عَلَى شِمَالِهِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতির ব্যাপারে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখতে দেখেছি।[16]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ‘নাভীর নীচে’ কথাটুকু হাদীছে নেই। সুতরাং এই অংশটুকু জাল করা হয়েছে। শায়খ মুহাম্মাদ হায়াত সিন্দী বলেন, زِيَادَةُ تَحْتَ السُّرَّةِ نَظْرٌ بَلْ هِىَ غَلَطٌ مَنْشَؤُهُ السَّهْوُ فَإِنِّىْ رَاجَعْتُ نُسْخَةً صَحِيْحَةً مِنَ الْمُصَنِّفِ فَرَأَيْتُ فِيْهَا هَذَا الْحَدِيْثَ بِهَذَا السَّنَدِ وَبِهَذِهِ الْأَلْفَاظِ إِلاَّ أَنَّهُ لَيْسَ فِيْهَا تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নীচে’ এই অতিরিক্ত অংশ ত্রুটিপূর্ণ। বরং তা স্পষ্ট ভুল। মূলেই ভুল রয়েছে। আমি সংকলকের মূল কপি দেখেছি। সেখানে এই সনদ ও শব্দগুলো দেখেছি। কিন্তু তার মধ্যে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই’।[17]
জ্ঞাতব্য : উক্ত বর্ণনা ভিত্তিহীন হলেও মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বার নামে ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে বিশুদ্ধ বলা হয়েছে।[18] যার ভিত্তি নেই তাকে বিশুদ্ধ বলার উদ্দেশ্য কি? মড়ার উপর খাড়ার ঘা?
(৫) إِنَّ النَّبِىَّ  قَالَ إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعُ الْيُمْنىَ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৫) নবী করীম (ছাঃ) বলেন, সুন্নাত হল বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে নাভীর নীচে রাখা।[19]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ উক্ত মর্মে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন বর্ণনা নেই। মদ্বীনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত ‘হানাফীদের কয়েকটি জরুরী মাসায়েল’ নামক বইয়ে উক্ত শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।[20]
বিশেষ সর্তকতা : কুদূরী ও হেদায়া কিতাবে বলা হয়েছে, وَيَعْتَمِدُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى تَحْتَ السُّرَّةِ ‘এবং ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখবে’।[21] অতঃপর হেদায়া কিতাবে দলীল হিসাবে পেশ করা হয়েছে, ‘কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কথা হল, لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعَ الْيَمِيْنِ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নিশ্চয় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা সুন্নাত’।[22] অথচ উক্ত বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই।
সুধী পাঠক! হানাফী মাযহাবের সর্বাধিক অনুসরণীয় কিতাবে যদি এভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর নামে মিথ্যা বর্ণনা মিশ্রিত করা হয়, তাহলে মানুষ সত্যের সন্ধান পাবে কোথায়?
(৬) عَنِ ابْنِ جَرِيْرٍ الضَّبِّيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِيْنِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৬) গাযওয়ান ইবনু জারীর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি আলী (রাঃ)-কে ডান হাত দ্বারা বাম হাতকে কব্জির উপর রেখে নাভীর উপর বাঁধতে দেখেছি।[23]
তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ।[24] ইমাম আবুদাঊদ বলেন, وَرُوِيَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَوْقَ السُّرَّةِ قَالَ أَبُوْ مِجْلَزٍ تَحْتَ السُّرَّةِ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ. ‘সাঈদ ইবনে জুবাইর-এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে- নাভীর উপরে হাত রাখতেন। আর আবু মিজলায বলেছেন, নাভীর নীচে হাত রাখতেন। অনুরূপ আবু হুরায়রা থেকেও বর্ণিত হয়েছে। তবে কোনটিই নির্ভরযোগ্য নয়’।[25]
(৭) عَنِ الحَجَّاجِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ أَوْ سَأَلْتُهُ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ يَضَعُ بَاطِنَ كَفِّ يَمِيْنِهِ عَلَى ظَاهِرِ كَفِّ شِمَالِهِ وَيَجْعَلُهَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ.
(৭) হাজ্জাজ ইবনু হাস্সান বলেছেন, আমি আবু মিজলাযকে বলতে শুনেছি অথবা তাকে প্রশ্ন করেছি, আমি কিভাবে হাত রাখব? তিনি বললেন, ডান হাতের পেট বাম হাতের পিঠের উপর রাখবে এবং একেবারে নাভীর নীচে রাখবে।[26]
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর সনদ বিচ্ছিন্ন।[27] যদিও কেউ তাকে ‘সুন্দর সনদ’ বলে মন্তব্য করেছেন।[28] কিন্তু ছহীহ হাদীছের বিরোধী হলে কিভাবে তাকে সুন্দর সনদ বলা যায়? [29]
(8) عَنْ أَبِى الزُّبَيْرِ قَالَ أَمَرَنِىْ عَطَاءٌ أَنْ أَسْأَلَ سَعِيْدًا أَيْنَ تَكُوْنُ الْيَدَانِ فِى الصَّلاَةِ؟ فَوْقَ السُّرَّةِ أَوْ أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ؟ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৮) যুবাইর বলেন, আত্বা আমাকে বললেন, আমি যেন সাঈদ ইবনু জুবাইরকে জিজ্ঞেস করি, ছালাতের মধ্যে দুই হাত কোথায় থাকবে? নাভীর উপরে না নাভীর নীচে? অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নাভীর উপরে।[30]
তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আবী তালেব ও যায়েদ ইবনু হুবাব নামে রাবী আছে, তারা ত্রুটিপূর্ণ।[31] মূলতঃ পরবর্তীতে এই বর্ণনার মাঝে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।[32]
(9) قاَلَ عَبْدُ اللهِ رَأَيْتُ أَبِىْ إِذَا صَلَّى وَضَعَ يَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৯) আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ (রহঃ) বলেন, আমি আমার আব্বাকে দেখেছি যে, তিনি যখন ছালাত আদায় করতেন তখন তিনি তার এক হাত অপর হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর উপরে রাখতেন।[33]
তাহক্বীক্ব : ইমাম আহমাদ (রহঃ) নাভীর নীচে হাত বাঁধার বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[34] সুতরাং উক্ত বর্ণনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ইমাম নববী ও আলবানী গ্রহণ করেননি।[35] ইমাম আহমাদ সম্পর্কে নাভীর নীচে ও উপরে দুই ধরনের কথা এসেছে। মূলতঃ তা সন্দেহ যুক্ত। যেমনটি দাবী করেছেন কাযী আবু ইয়ালা আল-ফার্র।[36] সুতরাং তার পক্ষ থেকে বুকের উপর হাত বাঁধাই প্রমাণিত হয়। যাকে ইমাম আবুদাঊদ ছহীহ বলেছেন।[37]
বিভ্রান্তি থেকে সাবধান :
বাজারে প্রচলিত ‘নামায শিক্ষা’ বইগুলোতে উক্ত যঈফ, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা দ্বারা নাভীর নীচে হাত বাঁধার দলীল পেশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে মাওলানা আব্দুল মতিন প্রণীত ‘দলিলসহ নামাযের মাসায়েল’ একটি। উক্ত লেখক শুধু বানোয়াট বর্ণনাই পেশ করেননি, বরং রীতি মত ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা করে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলকে যবাই করে নিজেদেরকে ‘প্রকৃত আহলে হাদীস’ বলে দাবী করেছেন।[38] কথায় বলে ‘অন্ধ ছেলের নাম পদ্মলোচন’। কারণ অন্ধ মাযহাবের মরণ ফাঁদে পড়ে কেউ আহলেহাদীছ পরিচয় ব্যক্ত করতে পারে না। এ জন্য ‘আহলেহাদীছ’ পরিচয় দেয়ার সাহস হয় না।
[1]. আবুদাঊদ হা/৭৫৬; আহমাদ ১/১১০; দারাকুৎনী ১/২৮৬; ইবনু আবী শায়বাহ ১/৩৯১; বায়হাক্বী ২/৩১। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে উক্ত মর্মে কয়েকটি হাদীছ নেই। [2]. وَقَدِ اتَّفَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى تَضْعِيْفِهِ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৪। [3]. لَمْ يَثْبُتْ إِسْنَادُهُ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْوَاسِطِىِّ وَهُوَ مَتْرُوْكٌ -বায়হাক্বী, আল-মা‘রেফাহ ১/৪৯৯। [4]. إِسْنَادُهُ غَيْرُ صَحِيْحٍ -উমদাতুল ক্বারী ৫/২৮৯। [5]. إسناده ضعيف -ইবনু হাজার আসক্বালানী, আদ-দিরায়াহ ১/১২৮। [6]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৬। [7]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [8]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [9]. ঐ, আত-তামহীদ ২০/৭৫। [10]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [11]. ইমাম ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/১৫৭; তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [12]. وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ سَنَدًا بِهَذَا اللَّفْظِ وَإِِنَّهَا عَلَّقَهُ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [13]. لَمْ أَقِفْ عَلَى سَنَدِ هَذَا الْحَدِيْثِ -ঐ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৫। [14]. মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১; নবীজীর নামায, পৃঃ ১৫০। [15]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ - حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه। [16]. তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [17]. তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [18]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [19]. হেদায়াহ ১/৮৬; হানাফীদের জরুরী মাসায়েল, পৃঃ ২৬। [20]. ঐ, পৃঃ ২৬। [21]. আবুল হুসাইন আহমাদ আল-কুদূরী, মুখতাছারুল কুদূরী, পৃঃ ২৮; হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ। [22]. হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ; নাছবুর রাইয়াহ ১/৩১৩ পৃঃ। [23]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭; বায়হাক্বী ২/৩০। [24]. যঈফ আবুদঊদ হা/৭৫৭। [25]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭। [26]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৯৬৩, ১/৩৯১; মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১। [27]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ - مقطوع لأن أبا مجلز تابعي والمقطوع لا يقوم به الحجة। [28]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০-এর আলোচনা দ্রঃ। [29]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/৬৩ পৃঃ- أن هذا قول تابعي ينفيه الحديث المرفوع فلا يلتفت إليه। [30]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৪৩৪; আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [31]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [32]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০। [33]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [34]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [35]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [36]. আল-মাসাইলুল ফিক্বহিয়াহ, ১/৩২ পৃঃ - وهذا يحتمل أن يكون ظناً من الراوي أنها كانت على السرة ويحتمل أن يكون سهواً من أحمد في ذلك। [37]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [38]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল , পৃঃ ২৪।
Share:

How Muhammad died

বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনই জানেনা যে মুহাম্মদকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল । আজ আপনাদের সেই ঘটনাই বলব । খায়বার এলাকা বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বকরীর মাংসে বিষ মিশিয়ে মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করেন । খানাপিনার প্রতি মুহাম্মদের অত্যধিক লোভ ছিল । আর তাই ইহুদীরা মুসলিমদের শত্রু জেনেও মুহাম্মদ এই জয়নবের কাছ থেকে খানা খাওয়ার লোভ ছাড়তে পারেননি । মুহাম্মদ জয়নবের কাছ থেকে দেওয়া মাংস মুখে দেন এবং বিষাক্রান্ত হন । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি পাবেন-
১. বুখারী শরীফ ৯ম খন্ডের ৫৩৬২ নং হাদীসে,
২. মুসলিম শরীফ ৭ম খন্ডের ৫৫৪২ নং হাদীসে,
৩. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতে ইবনে হিশাম"- এর ২৫৭ পৃষ্টায়,
৪. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায়,
৫. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ"- এর ২য় খন্ডের ২৪৯-২৫২ পৃষ্টায়,
৬. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাত রসূলুল্লাহ"- এর ৫১৬ পৃষ্টায় ।
পাঠকের জানার সুবিধার্তে আমি মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ" থেকে ঘটনাটি সংক্ষেপে তুলে ধরছি ।
খায়বার বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে রান্না করা বকরীর মাংস আনা হয় । জয়নব বিনতে আল হারিসা নামক এক ইহুদী মহিলা তার নিজের একটি বকরী জবাই করে রান্না করেন । তিনি খবর নেন যে মুহাম্মদ বকরীর কোন অংশটি খেতে পছন্দ করেন । তিনি খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে মুহাম্মদ বকরীর সামনের পায়ের অংশটি(foreleg) খেতে পছন্দ করেন । এরপর জয়নব একটি অব্যর্থ বিষ বাছাই করেন । পরে জয়নব বিষ নিয়ে রান্না করা বকরীর পায়ের অংশে এবং কাঁধে বেশী করে মেশালেন এবং অন্যান্য অংশেও স্বাভাবিকভাবে মেশালেন । তারপর এ মাংস মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করা হয় । মুহাম্মদ পরিবেশনকৃত মাংস থেকে পায়ের অংশটি(foreleg) নিয়ে মুখে দেন এবং কিছুটা চিবিয়ে নেন । এরপরই মুহাম্মদ ব্যপারটি বুঝতে পারেন এবং না খেয়ে ছুড়ে ফেলে দেন । ততক্ষনে বিষ মুহাম্মদের মুখগহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে । মুহাম্মদ সেই জয়নবকে তলব করেন । মুহাম্মদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন সে এই কাজটি করেছে । জবাবে জয়নব বলেন, মুহাম্মদ তার পিতাকে হত্যা করেছে, তার চাচাকে হত্যা করেছে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে । আর মুহাম্মদ যদি সত্যিকার অর্থে নবী হয়ে থাকেন তাহলে খাওয়ার আগেই মাংসের টুকরোটি মুহাম্মদকে বিষের উপস্থিতি জানিয়ে দিবে । আর মুহাম্মদ যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে জয়নব সহ অন্যান্য ইহুদীরা মুহাম্মদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন । মুহাম্মদের পাশে বসা বিশর ইবনে আল বারা মাংস মুখে নিয়ে গিলে ফেলেন যার ফলে সে সেখানেই মারা যায় ।
এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩ বছরের মত বিষযন্ত্রণা ভোগ করেন( Ibn Sa'd, vol-2, page-252) ।
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণা নিয়ে যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন এক মহিলা মুহাম্মদকে দেখতে আসেন । মু্হাম্মদ এই মহিলাকে বলেনঃ হে বিশরের মা, তোমার ছেলে বিশরের সাথে খায়বরে আমি যে গ্রাসটি মুখে তুলেছিলাম তার বিষক্রিয়া এখনো আমি অনুভব করছি । আমার প্রাণরগ ফেটে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা ভোগের স্বীকারোক্তিমূলক এই বর্ণনা পাওয়া যাবে -
১. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতুন নবী"- এর ৩য় খন্ডের ৩৫৬ পৃষ্টায়,
২. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায় ।
মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশা বর্ণনা করেছেনঃ "মুহাম্মদ মারা যাওয়ার আগে আমি দেখেছি যে, মুহাম্মদের নিকটে একটি পানির পাত্র থাকত । তিনি পাত্রের ভিতর হাত ঢুকিয়ে এরপর পানি দিয়ে নিজের মুখ মুছতেন এবং বলতেন যে, "হে আমার পালনকর্তা ! আমাকে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য কর । "
( আল তাবারি, ৯ম খন্ড, পৃষ্টা- ১৮১ )
হাদীস থেকে জানা যায় বিষের প্রভাবে মুহাম্মদের পায়ে প্যারালাইসিস অর্থাৎ পায়ে অবশতা চলে এসেছিল । মুহাম্মদ তাঁর চাচাত ভাই আলী ও অন্য এক সাহাবীর কাঁধে হাত রেখে চলাচল করতেন । এসময় মুহাম্মদের পা মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল ( বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
মুহাম্মদ বিষের যন্ত্রণা কমানোর জন্য প্রায় সময় "সূরা ইখলাস", "সূরা ফালাক", "সূরা নাস" পাঠ করে নিজের গায়ের উপড় ফুক দিতেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩৩৭) ।
কিন্তু এতেও মুহাম্মদ বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হলেননা ।
মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা যখন আরো বৃদ্ধি পেল মুহাম্মদ বলেছিল যে, তাকে যেন ৭ কুয়ার পানি এনে তাঁর মাথায় ঢালা হয় যেন তিনি সুস্থ হয়ে আগের মত তাঁর লোকের মাঝে ফিরে আসতে পারেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই । মুহাম্মদ যখন মক্কায় ইসলাম প্রচার করত তখন মক্কার কুরাইশরা কোরানের আয়াতকে বিশ্বাস করতনা । কুরাইশরা বলত যে, মুহাম্মদই কোরানের আয়াত রচয়িতা । কুরাইশদের এ সন্দেহ দূর করার জন্য এ সময় কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত নাজিল হয় যেখানে আল্লাহ বলছেন যে, সে( অর্থাৎ মুহাম্মদ) যদি আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন আয়াত রচনা করত তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের ডানহাত ধরে ফেলত এবং মুহাম্মদের প্রাণরগ(Life Artery) কেটে দিত । এবার এই ৩টি আয়াতের ইংরেজী অনুবাদ দেখুন -
(44) And if he (Muhammad SAW) had forged a false saying concerning Us.
(45) We surely would have seized him by his right hand (or with power and might),
(46) And then we certainly would have cut off his life artery (Aorta).
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণায় যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন আয়েশাকে বলেছিলেন যে, "ওহ আয়েশা, খায়বারে আমি যে(বিষযুক্ত) খাবারটি খেয়েছিলাম সে খাবারের কারণে আমার যেরকম ব্যথা হচ্ছে মনে হচ্ছে কেউ আমার প্রাণরগ(Life Artry) কেটে দিয়েছে ।"(Sahih Bukhari 5:59:713)
তাহলে কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মদই কোরানের রচয়িতা ।
অবশেষে মুহাম্মদ স্ত্রী আয়েশার ঘরে এবং আয়েশার কোলে চোখ বিস্ফোরিত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা নং- ৩৫০) ।
আচ্ছা, চলুন, এবার কিছুক্ষণ কোরান পাঠ করি ।
আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু(কোরান-২:১৭৩)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের প্রতি দয়ালু হলেননা কেন?
আল্লাহ তা’আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন(কোরান-২:১৮০)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগেভাগে জানলেননা কেন?
আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়(কোরান-২:২১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদকে করুণা করলেননা কেন?
আল্লাহ সর্বজ্ঞ(সব জানেন)(কোরান-২:২৬১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগে জানতে পারলেননা কেন?
আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল(কোরান-৮:১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কাফের জয়নবের চক্রান্তের কাছে পরাজিত হলেন কেন?
আল্লাহ সুকৌশলী(কোরান-৮:৭১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহর কৌশল কাফের জয়নবের কৌশলের কাছে পরাভূত হয় কি করে?
তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন(কোরান-৮:৭২)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি দেখলেননা কেন?
তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত(কোরান-৯:১৬)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কেন এই ঘটনাটি আগেভাগে অবহিত হলেননা ?
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল(কোরান-২:১৪৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ এখানে নিজের ক্ষমতা দেখাতে পারলেননা কেন ?

সংগ্রহঃ Rag Pigan
সৌজন্য:- Sourangshu Pal
Share:

হজরত আলি (রা.) সম্পর্কে

হজরত আলি (রা.) সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? খুবই সামান্য। অথচ তিনি ইসলামের পরম সম্মানিত চতুর্থ খলিফা। তিনি রাসুলুল্লাহর (সা.) মেয়ে ও নাতনির স্বামী ছিলেন। আজ আমরা জানবো এই সম্মানিত সাহাবির বিবি, দাসী ও পুত্র-কন্যাদের সম্বন্ধে।
.
-> হজরত আলির (রা.) বিবিগণের তালিকা:
১. ফাতিমা (রাসুলুল্লাহর মেয়ে)
২. উম্মুল বানিন (হিজামের মেয়ে)
৩. লায়লা (মাসউদের মেয়ে)
৪. আসমা (উমাইসের মেয়ে)
৫. আল-সাহবা (রাবি'য়াহের মেয়ে)
৬. উমামা (রাসুলুল্লাহর মেয়ে যায়নাবের মেয়ে)
৭. খাওলা (জাফরের মেয়ে)
৮. উম্মে সাইদ (উরওয়ার মেয়ে)
৯. মাহইয়াত (ইমরুল কায়েসের মেয়ে)
.
-> হজরত আলির (রা.) দাসীগণ:
হজরত আলি (রা.)-এর অসংখ্য দাসী ছিল যাদের গর্ভে তার অনেক সন্তান হয়। সন্তানদের নাম পাওয়া গেলেও তাদের জন্মদাত্রী দাসীদের নাম পাওয়া যায়নি।
.
-> আলির (রা.) ঔরসে তার বিবিগণের গর্ভজাত পুত্র-কন্যাদের তালিকা:
১. হাসান
২. হুসাইন
৩. মুহাসিন
৪. যায়নাব (বড়)
৫. উম্মে কুলসুম (বড়)
৬. আল-আব্বাস
৭. জাফর
৮. আবদুল্লাহ
৯. উসমান
১০. উবাইদুল্লাহ
১১. আবু বকর
১২. ইয়াহিয়া
১৩. আউন
১৪. উমার
১৫. রুকাইয়া
১৬. মুহাম্মাদ (বড়)
১৭. মুহাম্মাদ (মেজো)
১৮. উম্মুল হাসান
১৯. রামলা (বড়)
২০. আলির (রা.) ঔরসে মাহইয়াতের গর্ভজাত কন্যা (নাম জানা যায়নি)
.
-> আলির (রা.) ঔরসে দাসীদের গর্ভজাত পুত্র-কন্যাগণের তালিকা:
২১. উম্মে হানি
২২. মাইমুনা
২৩. যায়নাব (ছোট)
২৪. রামলা (ছোট)
২৫. মুহাম্মাদ (ছোট)
২৬. উম্মে কুলসুম (ছোট)
২৭. ফাতিমা
২৮. উমামা
২৯. খাদিজা
৩০. উম্মুল কিরাম
৩১. উম্মে সালামা
৩২. উম্মে জাফর
৩৩. জুমানা
৩৪. নাফিসা
.
সর্বমোট ৯ জন বিবি (বিভিন্ন সময়ে), ৩৪ জন পুত্র-কন্যা (১৫ জন পুত্র ও ১৯ জন কন্যা) ও নাম না পাওয়া যাওয়া অনেক দাসী ছিল হজরত আলির (রা.)।
(সূত্র: The History of Al-Tabari, Volume XVII, Pages 227-229)
আজকের দিনে হজরত আলির (রা.) মতো সুপুরুষের ভীষণ অভাব।
আপনারা কী বলেন?
Share:

GHI

65) সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব-- আল্লার জঘন্য, ইতর, পুরুষালি মনোভাবের প্রামান্য দলিল।
XXXXXXXXXXXXXXXXXxxxx
>>১নং আয়াত- মুমিনরা তালাক দিতে চাইলেই তালাক বৈধ, মহিলার কিছু বলার নেই।
>>৪নং আয়াত- ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়া বয়স্ক মহিলাটাকে সন্দেহ হলেই তালাক দেয়া যাবে। সন্দেহ আর প্রমানীত অপরাধী কি এক কথা?
>>ক্রিমিনোলজিতে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরে প্রকৃত অপরাধী খুজে পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়।
আর আল্লা শুধু সন্দেহের বশে একজন বয়স্ক মহিলাকে তালাকের লাইসেন্স দিয়ে দিল!
>>৪নং আয়াত-যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, মনে বাল্য বিবাহ এবং তালাকের বৈধতা দিল আল্লা
>>তালাকের পরে পরবর্তী বিবাহের পূর্বে পুরুষের জন্য কোন ইদ্দতকাল নাই কিন্তু ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়া বয়স্ক মহিলা কিম্বা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি তদের ও ইদ্দত কাল আছে। এদের পেটে বাচ্চা আসর সম্ভাবনা নেই তাও ইদ্দত কাল!!
>>মহিলার চরিত্রে সন্দেহ হলে তালাক চলবে
কিন্তু পুরুষ যতই নটংকি করুক পুরুষকে তালাক দেয়ার অধিকার কোনো মহিলার নেই।
এই অবিবেচক, অন্যায়কে প্রশ্রয়দেয়া পুরুষালী আল্লাকে সৃষ্টিকর্তা মানার কোন কারণ থাকতে পারে না।
Ref:
১নং আয়াত--- হে নবী, তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দত গণনা করো। তোমরা তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করো। তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয় যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে। সে জানে না, হয়তো আল্লাহ এই তালাকের পর কোন নতুন উপায় করে দেবেন।
2নং আয়াত--তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
Share:

DEF

মুসলমানদের দাবী, -নারীর মর্যাদা পৃথিবীর বুকে কোন ধর্ম যদি দিয়ে থাকে সেটি হলো ইসলাম। --------------------­--------------------­-------
১ নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে (Quran 4:34, 2:228)২ তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক (Quran 2:282, 4:11 Sahih Bukhari 3:48:826, 1:142)৩ নারী পুরুষের যৌন দাসী (Ibn Hisham-al-Sira al-nabawiyya, Cairo, 1963)৪ তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি (Sahih Bukhari 5:59:524)৫ তারা কুকুরের সমতুল্য (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486 Sahih Muslim 4:1032, 4:1034, 4:1038-39 Abu Dawud 2:704)৬ ভালোবাসার অযোগ্য (Sahih Bukhari 7:62:17 Abu Dawud 41:5119)৭ তাদের বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369)৮ রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র (Quran 2:222 Al-Tabari Vol.1 p.280) হজ্ব করার অযোগ্য (Sahih Bukhari 1:6:302)৯ তারা নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219) বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) অকৃতজ্ঞ (SahihBukhari 1:2:28) খেলার পুতুল (Al-Musanaf Vol.1 Part 2 p.263) হাড়ের মত বক্রতা যুক্ত (Sahih Muslim 8:3466-68 Sahih Bukhari 7:62:113, 7:62:114, 4:55:548)১০ তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (Quran 2:223 Abu Dawud 11:2138)১১ তারা শয়তানের রূপ (Sahih Muslim 8:3240)১২ তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)১৩ তারা বিশ্বাস ঘাতক (Sahih Bukhari 4:55:547)১৪ পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক (Sahih Bukhari 7:62:33)১৫ নেত্রিত্ব দেওয়ার অযোগ্য (Sahih Bukhari 9:88:219)১৬ প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারন (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493) ১৭ স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368)১৮ পুরুষ কত্রিক ধর্ষনের অনুমোদন (Quran 70:29-30 Abu Dawud 11:2153, 31:4006 Sahih Bukhari 5:59:459 Sahih Bukhari 8:77:600, 8:3432, 8:3371)১৯ স্বামীর বাধ্য না হলে তাদের প্রার্থনা গৃহিত হবে না (Muslim Scholar Al-Suyuti while commenting on Quran 4:34 Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. ii, 60) ২০ পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে (Quran 4:3)২১ তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Sahih Bukhari 8:4871-82 Mishkat al-Masabih, Book 1, duties of parents, Hadith No. 15)২২ স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127) যার কারনে কোন জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142)২৩ বেহেস্তে পুরুষের জন্যে রয়েছে বহু (Virgin) রমনী সম্ভগের ব্যাবস্থা (Quran 33:48, 44:51-54, 55:56-58, 78:31-35 Ibn Kathir Tafsir of 55:72 SahihMuslim 40:6795, 40:6796 Sahih Bukhari 4:54:476 Al-Tirmidhi, Sunan. Vol. IV Chap. 21 Hadith: 2687 Sunan Ibn Maja, Zuhd-Book of Abstinence 39)২৪ শুধুমাত্র নীরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি (Sahih Bukhari 9:86:100, 9:86:101, 9:85:79)২৫ স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত অন্য পুরুষের কাছাকাছি হওয়া নিষিদ্ধ (Sahih Bukhari 4:52:250)২৬ তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা (Mishkat al-Masabih, Book 1, Duties of Husband and Wife, Hadith Number 62 Mishkat al-Masabih, Book 1, duty towards children Hadith Number 43)২৭ সর্বদা নিজেদের আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায় (Sahih Bukhari 5:59:462, 6:60:282) ২৮ মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্যে রয়েছে দোজখের আগুন (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 Sahih Bukhari 7:62:124, 1:2:29, 7:62:124, 2:18:161)
Share:

ABC

এই হাদিসগুলো সম্পর্কে।কিছু বলুন।
(১)নবীজি বলেন,"জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে!সুতরাং,জ্বর কে পানি দ্বারা প্রশমিত কর!
—(সহীহ বুখারী,, খন্ড: ৭:অধ্যায় ৭১:হাদিস ৬২১)
(২)নবীজি বলেন,"যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার!
—"(সহীহ বুখারী, 4:54:537)
(৩)নবীজি বলেন,কালোজিরা আস- সামস ব্যতিত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন,আস- সামস কি?নবীজি উত্তরে বলেন,মৃত্যু!
—— "(সহীহ বুখারী ৭:৭১:৫৯১)
(৪)নবীজি বলেন,"যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে!
—-"(সহীহ বুখারী 7:69:538)
(৫) নবীজি বলেন,"জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,"হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকলে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ!
—-"(সহীহ বুখারী 4:54:482)
(৬)নবীজি বলেন,"আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!
—-"(সহীহ বুখারী 8:73:242)
(৭)নবীজি বলেন,"ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
—-"(সহীহ বুখারী 9:87:115)
(৮)আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে!
—-"(সহীহ বুখারী 2:21:245)
(৯)নবীজি বলেন,"তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।
—-"(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৯৪)
(১০) নবীজি বলেন,,"যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭ টি আজওয়া খেজুর খায়,তার ওপর বিষ ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা!
——"(সহীহ বুখারী ৭:৬৫:৩৫৬)
# হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দিন,,,(copied)
Share:

Popular Posts

About Me

My photo
Hi Friends, I m Shahadat . This Is My Personal Blog Where I Will Share Tech,News,Offers Of Any Operator and Free Net Tricks. I love to know & share my knowledge with you all. I m Also Simple Böy Like You All and a singer. I am fan of SONU NIGAM. Just Study in Collage. I want past my best time with my friends. All Time Visit Our Site .
Powered by Blogger.

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.