আমার যাদবপুরের বাসার পাশের একজন মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে মুসলমান হলেন? তিনি উত্তরে যা বললেন তা হলো------১. আমাদের মূল ধর্মীয় পুস্তক কুরআন তারপর বিশ্বস্ত গ্রন্থ আছে ৬টি সহি হাদিস বই। এর বাইরে যাওয়ার আমাদের উপায় নেই। এতে যা আছে তা মেনে চলাই ইসলাম। যে মেনে চলতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান। তবে আমি হুইন্যা মুসলমান।-------
--এটা কেমন কথা?হুইন্যা মুসলমান আবার কেমন মুসলমান?
তিনি বললেন----মুহাম্মদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থের লেখকদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তারা আরবে গিয়ে তৎকালীন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছে--ক থেকে খ, খ থেকে গ---এভাবে কোনো হাদিস বর্ণনাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০০ জনও আছে।
এইমাত্র বলা কথা শুনে অন্যজন যখন বলে দেখা যায় ভিন্নতা। আর ২০০ বছর আগের কথা-ওমুখ থেকে তমুখ, তমুখ থেকে সমুখ এভাবে ১০০ জনের বর্ণানা সঠিক হয় কি করে তা আমার বোধগম্য নয়। তবুও মানতে হয়-আমি মুসলমান।
২. কুরআনের কথা বলেন-সেটাও ওরকম--মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ওসমানের সময় কুরআন একত্রিত করে পুস্তাকারে করা হয়। সুরাগুলোর নামকরণও নাকি ওসমানের সময় করা হয়। সুরা নাজিলের ক্রমও বর্তমান কুরআনে রাখা হয়নি। ছাগলে কয়েকটি আয়াত খেয়ে ফেলেছিল যা কুরআনে ঢোকানো হয়নি-আয়েশা বলেছে হাদিসে এ কথা। কুরআন নাজিল হইছে মুহাম্মদের অন্তরে। সে মুখ দিয়ে যা বলেছে-তাই আল্লাহর কুরআন বা বাণী। হাতে বা ছাপিয়ে কুরআন পাঠাননি আল্লাহ। তাই আমি আল্লাহকে/জিবরাইলকে/বেহেশত-দোজখ কিছুই দেখিনি। তবু মুসলমান কারণ মুহাম্মদ বলেছে-কুরআন আল্লাহর বানী। এক কথায় বলতে পারেন আমি হুইন্যা মুসলমান বা ইসলামের রোবট।
Home »
» new 2
new 2

No comments:
Post a Comment