new

মুসলিম ভাইয়েরা,
যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনাদের কোরান,হাদিস,নবির জীবনীগ্রন্থ থেকে আপনাদের কিছু প্রশ্ন করছি । আশা করি উত্তর দিবেন ।
১. আল্লাহ বলেছেন যে অমুসলিম/ কাফের সম্প্রদায় হল বধির, মূক ও অন্ধ( কোরান ২:১৮ )। অথচ বিশ্বের যাবতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মূলে রয়েছে ওইসব অমুসলিমদের অবদান/আবিস্কার ( যেমন - কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এক্স-রে,টিভি,রেডিও, রেফ্রিজারেটর, ক্যামেরা, হ্যালিকপ্টার,এন্টিবায়োটিক ওষুধ, রোগ প্রতিষেধক টিকা ইত্যাদি ) । তাহলে আল্লাহর এমন দাবির ভিত্তি কোথায় ?
২. আল্লাহ বলেছেন তিনি কোরান - এর সংরক্ষক( কোরান ১৫:৯)। আবার হাদিস থেকে জানা যায় যে আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো আয়াত ছাগল খেয়ে ফেলে ( ইবনে মাজাহ, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ১৯৪৪) । এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তাঁর আয়াত ছাগল থেকে রক্ষা করতে পারলেননা ?
৩. নারীরা হল পুরুষদের জন্য শস্যক্ষেত্র ( কোরান ২:২২৩ ) । মুহাম্মদ ছিলেন ১৩ খানা শস্যক্ষেত্রের মালিক । কিন্তু তিনি শুধুমাত্র খাদিজার শস্যক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন করতে পেরেছিলেন । বাকি ১২ টি শস্যক্ষেত্রগুলিতে আল্লাহর রহমত হল না কেন ?
৪. যদি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেই একটি পুত্র সন্তানের ব্যবস্থা হয়ে যায়( কোরান ১৯:২-১০) তাহলে মুহাম্মদ কেন তা না করে উত্তরাধিকারীহীন অবস্থায় মারা গেলেন ?
৫. মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত নবী হলে তাঁর পুত্র ইব্রাহিম (দাসী মারিয়া'র গর্ভে জন্ম নেওয়া অবৈধ সন্তান) মারা যেতনা - এ কথা বলার জন্যে নবী মুহাম্মদ al-Shanba' bint 'Amr al-Ghifariyyah কে তালাক দেন ( al-tabari vol.9,p-136) ! মুহাম্মদের সন্তানদের এভাবে অকাল মৃত্যু হওয়া দেখে আপনার মনেও কি একই ধরনের প্রশ্ন উদয় হয়না ?
৬. মুহাম্মদ কাবাঘরের সামনে দাড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে সাক্ষী রেখে যায়েদকে নিজের পুত্র হিসেবে ঘোষনা দেয়( Misqat,vol-3,p-340 ) । সেই সাথে যায়েদের পূর্ব নাম " যায়েদ ইবনে হারিসা" পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় "যায়েদ ইবনে মুহাম্মদ"। কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ যায়েদের স্ত্রী যয়নবের দেহ সৌন্দর্যে পাগল হয়ে ( al tabari,vol-8,p-1 ) তাকে বিয়ে করার মত দৃষ্টিকটু বিষয়টাকে সর্বসম্মত করার উদ্দ্যেশ্যে আল্লাহকে দিয়ে আয়াত নাজিল করেন ( কোরান- ৩৩:৪,৩৩:৫,৩৩:৩৭ ,৩৩:৪০ ) l প্রশ্ন - একজন আদর্শ মহামানব হতে গেলে এরকম আর কি কি গুনের প্রয়োজন ?
৭. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ হতে জানা যায় যে মুহাম্মদ একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন যার নাম 'আসমা বিনতে নু'মান কিন্দিয়া' । এই মহিলাকে বিয়ে করার পর তার হাতে কুষ্ট রোগ দেখতে পেলে মুহাম্মদ সাথে সাথেই তাকে তালাক দেন ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা ৩৪৪) । এখন প্রশ্ন হল দ্বীনের নবি মুহাম্মদ কেন আগেভাগে এই মহিলার কুষ্টরোগের ব্যাপারে জানলেননা ? এছাড়া আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে এটা জানায়নি ? কোরানে (কোরান- ৩/৪৯) তো আল্লাহ কুষ্ঠ রুগী সুস্থ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । বিয়ের পর আল্লাহ তো চাইলে কুষ্টরোগ ভাল করে দিতে পারতেন । এটা হলে মুহাম্মদকে তালাক দিতে হতনা ।তার মানে কি এই নয় যে মুহাম্মদ নিজেকে নবি দাবি করা বা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করা পুরোটাই বানানো ?
৮. জান্নাত পাওয়ার লোভ দেখিয়ে আত্মঘাতী হামলা করে মানুষ মারার জন্য বলেছেন আল্লাহ ( কোরান ৯:১১১)। আপনি কি এটা সমর্থন করেন ?
৯. কোরানের ১৬:১০৩ আয়াতে আল্লাহ নিজেই স্বীকার করেছেন যে কোরান রচনার জন্য মুহাম্মদকে একজন লোক সাহায্য করত । এই আয়াতে আল্লাহ শুধু এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে সাহায্যকারী লোকটার ভাষা আরবী নয় যেখানে কোরানের ভাষা আরবী । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর বাণী নয় ?
১০. আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দরতম অবয়বে( কোরান ৯৫:৪)। যে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করে সে শয়তানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে( কোরান ৪:১১৯) । এখন প্রশ্ন হল মুসলমানরা কেন কোরানের আয়াত অমান্য করে খৎনা করে ?
১১. আল্লাহ কোরানে ব্যভিচারী হতে নিষেধ করেছেন( কোরান ১৭:৩২) । অথচ -
( ক) আল্লাহ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে সহবাসের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয়( কোরান ৩৩:৫০, আবু দাউদ,৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৫২) ?
(খ) মুহাম্মদ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে যৌনমিলনের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয় ( আবু দাউদ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৬৮,২১৬৯,২১৭০) ?
১২. ইসলামে দাসীদের সাথে সহবাস হালাল(কোরান-৩৩:৫০)। মুহাম্মদ তাঁর দাসী মারিয়ার সংগে যৌনকর্ম করতে গিয়ে ধরা পরে যান যেটাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আল্লাহ কোরানের আয়াত(৬৬/১-৫) পাঠিয়ে দেন। কোরানের এইসব আয়াতগুলির ভাল ব্যখ্যা পাওয়া যায় বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ "তাফসীরে জালালাইন" এর ষষ্ঠ খন্ড,৬০৫ নং পৃষ্টায় । এমন এক লোককে আপনি নিজের জীবনের আদর্শ মেনে নিচ্ছেন কিভাবে?
১৩. হাদিস থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদের অনেক রকমের অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যার দ্বারা তিনি চাঁদকে দুভাগ করেছিলেন । অথচ কাফেররা যখন মুহাম্মদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছু করে দেখানোর দাবী করে তখন আল্লাহ কোরানে বলেন যে মুহাম্মদ একজন সাধারন মানুষ ব্যতিত আর কিছুই নয়( কোরান ১৭:৯০-৯৪ ) । আর তাই মুহাম্মদের পক্ষে এমন কিছু করা সম্ভব নয় । তাহলে কোন কথাটি সত্য ?
১৪. মুহাম্মদের বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থব যথা - আল তাবারি, সীরাত রসুলুল্লাহ, সীরাতুন্নবী, সীরাতে ইবনে হিশাম ইত্যাদি থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদকে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বিষমিশ্রিত বকরির মাংস খাইয়ে দেয় । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি হাদিসেও পাওয়া যায়( বুখারী শরীফ,৯ম খন্ড,হাদিস নং-৫৩৬২; মুসলিম শরীফ,৭ম খন্ড,হাদিস নং-৫৫৪২) । এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হন এবং কয়েকবছর যাবৎ রোগযন্ত্রণা ভোগের পর অত্যন্ত কষ্টদায়কভাবে মৃত্যুবরন করেন ।এই বিষের যন্ত্রনা ভোগের কথা মুহাম্মদ নিজেও স্বীকার করেন( সীরাতুন নবী,৩য় খণ্ড,পৃষ্টা-৩৫৬)। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তার প্রিয় বান্দাকে বিষমিশ্রিত খাবারের ব্যাপারে আগেভাগে সতর্ক করলেননা ? আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে রোগযন্ত্রণা ভোগ করালেন ?
১৫. পূর্বে দেওয়া মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থগুলিতে মুহাম্মদ কতৃক "বনু কুরাইজা" অভিযান এর ঘটনা জানা যায় । এ অভিযানে মুহাম্মদের নির্দেশক্রমে বনু কুরাইজার নিরস্ত্র অধিবাসীদের আটক করে ৭০০- ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে গলা কেটে হত্যা করা হয় । বনু কুরাইজার সুন্দরী নারীদের বন্দী করে মুহাম্মদ নিজের জন্য একটি রেখে বাকিদের অনুসারীদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে দেন ভোগ করার জন্য । আর বাকি বন্দীদের নিকটস্থ বাজারে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রী করা হয় । তাদের সকল সম্পত্তি নবির অনুসারীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়(সীরাতে ইবনে হিশাম,পৃষ্টা-২২৫;sirat rasulullh,p-464) । এসম্পর্কিত ২ টি আয়াত কোরানেও স্থান পায়( কোরান ৩৩:২৬-২৭)। আপনি যদি একজন মানবিক আর বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে মুহাম্মদের এই কাজগুলিকে সমর্থন করবেন ?
১৬. মুহাম্মদের এসব গলাকাটা দেখে আরবের প্রায় সবাই ইসলাম গ্রহন করে । কিন্তু মুহাম্মদ মারা যাওয়ার পর অধিকাংশ মক্কাবাসী ইসলাম ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় । পরে "সুহাইল ইবনে আমের" নামক মুহাম্মদের এক অনুসারী ইসলাম ত্যাগকারীদের শিরঃশ্চেদের ঘোষনা দিলে মক্কাবাসীরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা-৩৬০ ) । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে গলাকাটার ভয়ে তৎকালীন আরবরা ইসলাম গ্রহন করেছিল ?
১৭. মুহাম্মদ তাঁর সমালোচনাকারীদের সহ্য করতে পারতেননা । আর তাই মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের নির্দেশ দিয়ে অনেককে হত্যা করিয়েছেন । হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-
(ক) ১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধ কবি আবু আফাক । মুহাম্মদের অন্যায়ের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ। ( sirat rasulullah,p-675-676)
(খ) ৫ সন্তানের জননী আসমা বিনতে মারওয়ান। নবির অন্যায় কাজের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ । এই হতভাগ্য মহিলাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি তার বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন । (sirat rasulullh, p-675-676)
(গ) কাব বিন আল-আশরাফ । নবি ও ইসলামের সমালোচনা করাই ছিল তার অপরাধ । (sirat rasulullh, p-364-368
(ঘ) আবু রাফে, আব্দুল্লাহ বিন কাতাল ও তার দুই নর্তকী দাসী, আল হুয়াইরিদ বিন নুকাইদ সহ আরো অনেকে ।
প্রশ্ন- শুধুমাত্র সমালোচনা করার জন্য এভাবে মানুষ হত্যা করে,বনু-কুরাইজার মত গনহত্যা ঘঠিয়ে যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত তাকে কি কোনভাবেই শান্তির ধর্ম বা আদৌ কি কোন ধর্ম বলা যায় ?
১৮. মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার উপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপিত হলে সে সমস্যা নিরসনে আল্লাহর আয়াত( কোরান ২৪:১-২০,২৩) নাজিল হতে এক মাসের উপর সময় ব্যয় হয়(বুখারী শরীফ,৮ম খন্ড,হাদিস নং-৪৩৯১)। এ থেকে কি এটাই বোঝা যায়না যে মুহাম্মদ আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন ধরনের আয়াত নাজিল করবেন তা নিয়ে কনফিউজড ছিলেন ?
১৯. আল্লাহ বলেছেন এই "কোরান" আল্লাহর কাছে থেকে নাজিলকৃত, তাই এতে কোন বৈপরীত্য নেই(কোরান-৪:৮২) । অথচ কোরানে প্রচুর আয়াত পাওয়া যায় যেগুলি একটা আরেকটার বিপরীত ।কোরান থেকে নেওয়া বিপরীতধর্মী এই আয়াতগুলি লক্ষ্য করুন আর আয়াত নাম্বারগুলি মিলিয়ে নিন ।
[ক] আল্লাহ কি সর্বজ্ঞ? হ্যা(৪৯:১৬) না(২:১৫৫)
[খ] সঙ্গী বিহীন কি সন্তান ধারন সম্ভব? হ্যা(১৯:২০-২১) না(৬:১০১)
[গ] আল্লাহ কি কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন? হ্যা(২:২৫৯,৪:১৬৪,১৯:২-১০) না(৪২:৫১)
[ঘ] আল্লাহর ১ দিন মানুষের কয়দিনের সমান? ১০০০দিন(২২:৪৭) নাকি ৫০০০০দিন(৭০:৪)
[ঙ] মুহাম্মদ কি লেখাপড়া জানতেন ? না- ( কোরান- ৭:১৫৭ ) হ্যা- (বুখারী শরীফ,৫ম খন্ড,হাদিস নং-২৫১৯ ; কোরান- ৯৬:১-৫, ২৫:৫, ৮৭:৬ )
[চ] ফেরেস্তারা কি কাউকে রক্ষা বা সাহায্য করতে পারে? হ্যা(৪১:৩১) না(২:১০৭)
[ছ] বদর যুদ্ধে কতজন ফেরেস্তা মুহাম্মদকে সাহায্য করেছিল? ৩০০০(৩:১২৪) নাকি ১০০০(৮:৯) নাকি একজনও না(১৫:৮)
[জ] ইবলিশ কি? ফেরেস্তা(২:৩৪) নাকি জ্বিন(১৮:৫০)
[ঝ] আল্লাহ কি আসলেই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল ? হ্যা(১:৩) না(৪:৫৬)
[ঞ] আল্লাহ সবকিছু ক্ষমা করে দেন ? হ্যা(৩৯:৫৩) না(৪:১১৬)
[ট] ফেরেস্তারা কি পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায় ? হ্যা(২:১০২) না(১৭:৯৫)
প্রশ্ন - উপরোল্লিখিত বিপরীতধর্মী আয়াত থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে নাজিলকৃত নয় বরং এটি কোন অল্পজ্ঞানী মানুষের রচনা ?
২০. কোরান নিয়ে প্রশ্ন করলে মুসলমানরা বলে যে তাফসীর পড়লে কোরানের আয়াতের আসল অর্থ জানা যাবে । অথচ আল্লাহ কোরানে বলেছেন যে তিনি কোরানকে সহজ করে দিয়েছেন যাতে সবাই বুঝতে পারে ( কোরান ৫৪:১৭)। তাহলে কোরানের আয়াতের অর্থ বোঝার জন্য তাফসীর বা অন্য কোন বইয়ের প্রয়োজন হয় কেন ?
Share:

No comments:

Post a Comment


Popular Posts

About Me

My photo
Hi Friends, I m Shahadat . This Is My Personal Blog Where I Will Share Tech,News,Offers Of Any Operator and Free Net Tricks. I love to know & share my knowledge with you all. I m Also Simple Böy Like You All and a singer. I am fan of SONU NIGAM. Just Study in Collage. I want past my best time with my friends. All Time Visit Our Site .
Powered by Blogger.

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.