• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Kali Linux

# apktool rebuild error command
apktool empty-framework-dir --force

 

Picked up _JAVA_OPTIONS: -Dawt.useSystemAAFontSettings=on Problem

_SILENT_JAVA_OPTIONS="$_JAVA_OPTIONS"

unset _JAVA_OPTIONS

alias java='java "$_SILENT_JAVA_OPTIONS"'

Share:

new 2

আমার যাদবপুরের বাসার পাশের একজন মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে মুসলমান হলেন? তিনি উত্তরে যা বললেন তা হলো------১. আমাদের মূল ধর্মীয় পুস্তক কুরআন তারপর বিশ্বস্ত গ্রন্থ আছে ৬টি সহি হাদিস বই। এর বাইরে যাওয়ার আমাদের উপায় নেই। এতে যা আছে তা মেনে চলাই ইসলাম। যে মেনে চলতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান। তবে আমি হুইন্যা মুসলমান।-------
--এটা কেমন কথা?হুইন্যা মুসলমান আবার কেমন মুসলমান?
তিনি বললেন----মুহাম্মদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থের লেখকদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তারা আরবে গিয়ে তৎকালীন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছে--ক থেকে খ, খ থেকে গ---এভাবে কোনো হাদিস বর্ণনাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০০ জনও আছে।
এইমাত্র বলা কথা শুনে অন্যজন যখন বলে দেখা যায় ভিন্নতা। আর ২০০ বছর আগের কথা-ওমুখ থেকে তমুখ, তমুখ থেকে সমুখ এভাবে ১০০ জনের বর্ণানা সঠিক হয় কি করে তা আমার বোধগম্য নয়। তবুও মানতে হয়-আমি মুসলমান।
২. কুরআনের কথা বলেন-সেটাও ওরকম--মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ওসমানের সময় কুরআন একত্রিত করে পুস্তাকারে করা হয়। সুরাগুলোর নামকরণও নাকি ওসমানের সময় করা হয়। সুরা নাজিলের ক্রমও বর্তমান কুরআনে রাখা হয়নি। ছাগলে কয়েকটি আয়াত খেয়ে ফেলেছিল যা কুরআনে ঢোকানো হয়নি-আয়েশা বলেছে হাদিসে এ কথা। কুরআন নাজিল হইছে মুহাম্মদের অন্তরে। সে মুখ দিয়ে যা বলেছে-তাই আল্লাহর কুরআন বা বাণী। হাতে বা ছাপিয়ে কুরআন পাঠাননি আল্লাহ। তাই আমি আল্লাহকে/জিবরাইলকে/বেহেশত-দোজখ কিছুই দেখিনি। তবু মুসলমান কারণ মুহাম্মদ বলেছে-কুরআন আল্লাহর বানী। এক কথায় বলতে পারেন আমি হুইন্যা মুসলমান বা ইসলামের রোবট।
Share:

new 2

আমার যাদবপুরের বাসার পাশের একজন মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে মুসলমান হলেন? তিনি উত্তরে যা বললেন তা হলো------১. আমাদের মূল ধর্মীয় পুস্তক কুরআন তারপর বিশ্বস্ত গ্রন্থ আছে ৬টি সহি হাদিস বই। এর বাইরে যাওয়ার আমাদের উপায় নেই। এতে যা আছে তা মেনে চলাই ইসলাম। যে মেনে চলতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান। তবে আমি হুইন্যা মুসলমান।-------
--এটা কেমন কথা?হুইন্যা মুসলমান আবার কেমন মুসলমান?
তিনি বললেন----মুহাম্মদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পর হাদিস গ্রন্থের লেখকদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তারা আরবে গিয়ে তৎকালীন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছে--ক থেকে খ, খ থেকে গ---এভাবে কোনো হাদিস বর্ণনাকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১০০ জনও আছে।
এইমাত্র বলা কথা শুনে অন্যজন যখন বলে দেখা যায় ভিন্নতা। আর ২০০ বছর আগের কথা-ওমুখ থেকে তমুখ, তমুখ থেকে সমুখ এভাবে ১০০ জনের বর্ণানা সঠিক হয় কি করে তা আমার বোধগম্য নয়। তবুও মানতে হয়-আমি মুসলমান।
২. কুরআনের কথা বলেন-সেটাও ওরকম--মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ওসমানের সময় কুরআন একত্রিত করে পুস্তাকারে করা হয়। সুরাগুলোর নামকরণও নাকি ওসমানের সময় করা হয়। সুরা নাজিলের ক্রমও বর্তমান কুরআনে রাখা হয়নি। ছাগলে কয়েকটি আয়াত খেয়ে ফেলেছিল যা কুরআনে ঢোকানো হয়নি-আয়েশা বলেছে হাদিসে এ কথা। কুরআন নাজিল হইছে মুহাম্মদের অন্তরে। সে মুখ দিয়ে যা বলেছে-তাই আল্লাহর কুরআন বা বাণী। হাতে বা ছাপিয়ে কুরআন পাঠাননি আল্লাহ। তাই আমি আল্লাহকে/জিবরাইলকে/বেহেশত-দোজখ কিছুই দেখিনি। তবু মুসলমান কারণ মুহাম্মদ বলেছে-কুরআন আল্লাহর বানী। এক কথায় বলতে পারেন আমি হুইন্যা মুসলমান বা ইসলামের রোবট।
Share:

new

মুসলিম ভাইয়েরা,
যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনাদের কোরান,হাদিস,নবির জীবনীগ্রন্থ থেকে আপনাদের কিছু প্রশ্ন করছি । আশা করি উত্তর দিবেন ।
১. আল্লাহ বলেছেন যে অমুসলিম/ কাফের সম্প্রদায় হল বধির, মূক ও অন্ধ( কোরান ২:১৮ )। অথচ বিশ্বের যাবতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মূলে রয়েছে ওইসব অমুসলিমদের অবদান/আবিস্কার ( যেমন - কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এক্স-রে,টিভি,রেডিও, রেফ্রিজারেটর, ক্যামেরা, হ্যালিকপ্টার,এন্টিবায়োটিক ওষুধ, রোগ প্রতিষেধক টিকা ইত্যাদি ) । তাহলে আল্লাহর এমন দাবির ভিত্তি কোথায় ?
২. আল্লাহ বলেছেন তিনি কোরান - এর সংরক্ষক( কোরান ১৫:৯)। আবার হাদিস থেকে জানা যায় যে আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো আয়াত ছাগল খেয়ে ফেলে ( ইবনে মাজাহ, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ১৯৪৪) । এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তাঁর আয়াত ছাগল থেকে রক্ষা করতে পারলেননা ?
৩. নারীরা হল পুরুষদের জন্য শস্যক্ষেত্র ( কোরান ২:২২৩ ) । মুহাম্মদ ছিলেন ১৩ খানা শস্যক্ষেত্রের মালিক । কিন্তু তিনি শুধুমাত্র খাদিজার শস্যক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন করতে পেরেছিলেন । বাকি ১২ টি শস্যক্ষেত্রগুলিতে আল্লাহর রহমত হল না কেন ?
৪. যদি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেই একটি পুত্র সন্তানের ব্যবস্থা হয়ে যায়( কোরান ১৯:২-১০) তাহলে মুহাম্মদ কেন তা না করে উত্তরাধিকারীহীন অবস্থায় মারা গেলেন ?
৫. মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত নবী হলে তাঁর পুত্র ইব্রাহিম (দাসী মারিয়া'র গর্ভে জন্ম নেওয়া অবৈধ সন্তান) মারা যেতনা - এ কথা বলার জন্যে নবী মুহাম্মদ al-Shanba' bint 'Amr al-Ghifariyyah কে তালাক দেন ( al-tabari vol.9,p-136) ! মুহাম্মদের সন্তানদের এভাবে অকাল মৃত্যু হওয়া দেখে আপনার মনেও কি একই ধরনের প্রশ্ন উদয় হয়না ?
৬. মুহাম্মদ কাবাঘরের সামনে দাড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে সাক্ষী রেখে যায়েদকে নিজের পুত্র হিসেবে ঘোষনা দেয়( Misqat,vol-3,p-340 ) । সেই সাথে যায়েদের পূর্ব নাম " যায়েদ ইবনে হারিসা" পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় "যায়েদ ইবনে মুহাম্মদ"। কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ যায়েদের স্ত্রী যয়নবের দেহ সৌন্দর্যে পাগল হয়ে ( al tabari,vol-8,p-1 ) তাকে বিয়ে করার মত দৃষ্টিকটু বিষয়টাকে সর্বসম্মত করার উদ্দ্যেশ্যে আল্লাহকে দিয়ে আয়াত নাজিল করেন ( কোরান- ৩৩:৪,৩৩:৫,৩৩:৩৭ ,৩৩:৪০ ) l প্রশ্ন - একজন আদর্শ মহামানব হতে গেলে এরকম আর কি কি গুনের প্রয়োজন ?
৭. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ হতে জানা যায় যে মুহাম্মদ একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন যার নাম 'আসমা বিনতে নু'মান কিন্দিয়া' । এই মহিলাকে বিয়ে করার পর তার হাতে কুষ্ট রোগ দেখতে পেলে মুহাম্মদ সাথে সাথেই তাকে তালাক দেন ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা ৩৪৪) । এখন প্রশ্ন হল দ্বীনের নবি মুহাম্মদ কেন আগেভাগে এই মহিলার কুষ্টরোগের ব্যাপারে জানলেননা ? এছাড়া আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে এটা জানায়নি ? কোরানে (কোরান- ৩/৪৯) তো আল্লাহ কুষ্ঠ রুগী সুস্থ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । বিয়ের পর আল্লাহ তো চাইলে কুষ্টরোগ ভাল করে দিতে পারতেন । এটা হলে মুহাম্মদকে তালাক দিতে হতনা ।তার মানে কি এই নয় যে মুহাম্মদ নিজেকে নবি দাবি করা বা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করা পুরোটাই বানানো ?
৮. জান্নাত পাওয়ার লোভ দেখিয়ে আত্মঘাতী হামলা করে মানুষ মারার জন্য বলেছেন আল্লাহ ( কোরান ৯:১১১)। আপনি কি এটা সমর্থন করেন ?
৯. কোরানের ১৬:১০৩ আয়াতে আল্লাহ নিজেই স্বীকার করেছেন যে কোরান রচনার জন্য মুহাম্মদকে একজন লোক সাহায্য করত । এই আয়াতে আল্লাহ শুধু এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে সাহায্যকারী লোকটার ভাষা আরবী নয় যেখানে কোরানের ভাষা আরবী । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর বাণী নয় ?
১০. আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দরতম অবয়বে( কোরান ৯৫:৪)। যে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করে সে শয়তানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে( কোরান ৪:১১৯) । এখন প্রশ্ন হল মুসলমানরা কেন কোরানের আয়াত অমান্য করে খৎনা করে ?
১১. আল্লাহ কোরানে ব্যভিচারী হতে নিষেধ করেছেন( কোরান ১৭:৩২) । অথচ -
( ক) আল্লাহ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে সহবাসের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয়( কোরান ৩৩:৫০, আবু দাউদ,৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৫২) ?
(খ) মুহাম্মদ কর্তৃক দাসী ও যুদ্ধবন্দীনীদের সাথে যৌনমিলনের অনুমোদন কি ব্যভিচার নয় ( আবু দাউদ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ২১৬৮,২১৬৯,২১৭০) ?
১২. ইসলামে দাসীদের সাথে সহবাস হালাল(কোরান-৩৩:৫০)। মুহাম্মদ তাঁর দাসী মারিয়ার সংগে যৌনকর্ম করতে গিয়ে ধরা পরে যান যেটাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আল্লাহ কোরানের আয়াত(৬৬/১-৫) পাঠিয়ে দেন। কোরানের এইসব আয়াতগুলির ভাল ব্যখ্যা পাওয়া যায় বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ "তাফসীরে জালালাইন" এর ষষ্ঠ খন্ড,৬০৫ নং পৃষ্টায় । এমন এক লোককে আপনি নিজের জীবনের আদর্শ মেনে নিচ্ছেন কিভাবে?
১৩. হাদিস থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদের অনেক রকমের অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যার দ্বারা তিনি চাঁদকে দুভাগ করেছিলেন । অথচ কাফেররা যখন মুহাম্মদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছু করে দেখানোর দাবী করে তখন আল্লাহ কোরানে বলেন যে মুহাম্মদ একজন সাধারন মানুষ ব্যতিত আর কিছুই নয়( কোরান ১৭:৯০-৯৪ ) । আর তাই মুহাম্মদের পক্ষে এমন কিছু করা সম্ভব নয় । তাহলে কোন কথাটি সত্য ?
১৪. মুহাম্মদের বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থব যথা - আল তাবারি, সীরাত রসুলুল্লাহ, সীরাতুন্নবী, সীরাতে ইবনে হিশাম ইত্যাদি থেকে জানা যায় যে মুহাম্মদকে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বিষমিশ্রিত বকরির মাংস খাইয়ে দেয় । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি হাদিসেও পাওয়া যায়( বুখারী শরীফ,৯ম খন্ড,হাদিস নং-৫৩৬২; মুসলিম শরীফ,৭ম খন্ড,হাদিস নং-৫৫৪২) । এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হন এবং কয়েকবছর যাবৎ রোগযন্ত্রণা ভোগের পর অত্যন্ত কষ্টদায়কভাবে মৃত্যুবরন করেন ।এই বিষের যন্ত্রনা ভোগের কথা মুহাম্মদ নিজেও স্বীকার করেন( সীরাতুন নবী,৩য় খণ্ড,পৃষ্টা-৩৫৬)। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন তার প্রিয় বান্দাকে বিষমিশ্রিত খাবারের ব্যাপারে আগেভাগে সতর্ক করলেননা ? আল্লাহ কেন মুহাম্মদকে রোগযন্ত্রণা ভোগ করালেন ?
১৫. পূর্বে দেওয়া মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থগুলিতে মুহাম্মদ কতৃক "বনু কুরাইজা" অভিযান এর ঘটনা জানা যায় । এ অভিযানে মুহাম্মদের নির্দেশক্রমে বনু কুরাইজার নিরস্ত্র অধিবাসীদের আটক করে ৭০০- ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে গলা কেটে হত্যা করা হয় । বনু কুরাইজার সুন্দরী নারীদের বন্দী করে মুহাম্মদ নিজের জন্য একটি রেখে বাকিদের অনুসারীদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে দেন ভোগ করার জন্য । আর বাকি বন্দীদের নিকটস্থ বাজারে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রী করা হয় । তাদের সকল সম্পত্তি নবির অনুসারীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়(সীরাতে ইবনে হিশাম,পৃষ্টা-২২৫;sirat rasulullh,p-464) । এসম্পর্কিত ২ টি আয়াত কোরানেও স্থান পায়( কোরান ৩৩:২৬-২৭)। আপনি যদি একজন মানবিক আর বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে মুহাম্মদের এই কাজগুলিকে সমর্থন করবেন ?
১৬. মুহাম্মদের এসব গলাকাটা দেখে আরবের প্রায় সবাই ইসলাম গ্রহন করে । কিন্তু মুহাম্মদ মারা যাওয়ার পর অধিকাংশ মক্কাবাসী ইসলাম ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় । পরে "সুহাইল ইবনে আমের" নামক মুহাম্মদের এক অনুসারী ইসলাম ত্যাগকারীদের শিরঃশ্চেদের ঘোষনা দিলে মক্কাবাসীরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা-৩৬০ ) । এ থেকে কি প্রমান হয়না যে গলাকাটার ভয়ে তৎকালীন আরবরা ইসলাম গ্রহন করেছিল ?
১৭. মুহাম্মদ তাঁর সমালোচনাকারীদের সহ্য করতে পারতেননা । আর তাই মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের নির্দেশ দিয়ে অনেককে হত্যা করিয়েছেন । হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-
(ক) ১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধ কবি আবু আফাক । মুহাম্মদের অন্যায়ের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ। ( sirat rasulullah,p-675-676)
(খ) ৫ সন্তানের জননী আসমা বিনতে মারওয়ান। নবির অন্যায় কাজের সমালোচনা করে কবিতা লেখাই ছিল তার অপরাধ । এই হতভাগ্য মহিলাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি তার বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন । (sirat rasulullh, p-675-676)
(গ) কাব বিন আল-আশরাফ । নবি ও ইসলামের সমালোচনা করাই ছিল তার অপরাধ । (sirat rasulullh, p-364-368
(ঘ) আবু রাফে, আব্দুল্লাহ বিন কাতাল ও তার দুই নর্তকী দাসী, আল হুয়াইরিদ বিন নুকাইদ সহ আরো অনেকে ।
প্রশ্ন- শুধুমাত্র সমালোচনা করার জন্য এভাবে মানুষ হত্যা করে,বনু-কুরাইজার মত গনহত্যা ঘঠিয়ে যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত তাকে কি কোনভাবেই শান্তির ধর্ম বা আদৌ কি কোন ধর্ম বলা যায় ?
১৮. মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার উপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপিত হলে সে সমস্যা নিরসনে আল্লাহর আয়াত( কোরান ২৪:১-২০,২৩) নাজিল হতে এক মাসের উপর সময় ব্যয় হয়(বুখারী শরীফ,৮ম খন্ড,হাদিস নং-৪৩৯১)। এ থেকে কি এটাই বোঝা যায়না যে মুহাম্মদ আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন ধরনের আয়াত নাজিল করবেন তা নিয়ে কনফিউজড ছিলেন ?
১৯. আল্লাহ বলেছেন এই "কোরান" আল্লাহর কাছে থেকে নাজিলকৃত, তাই এতে কোন বৈপরীত্য নেই(কোরান-৪:৮২) । অথচ কোরানে প্রচুর আয়াত পাওয়া যায় যেগুলি একটা আরেকটার বিপরীত ।কোরান থেকে নেওয়া বিপরীতধর্মী এই আয়াতগুলি লক্ষ্য করুন আর আয়াত নাম্বারগুলি মিলিয়ে নিন ।
[ক] আল্লাহ কি সর্বজ্ঞ? হ্যা(৪৯:১৬) না(২:১৫৫)
[খ] সঙ্গী বিহীন কি সন্তান ধারন সম্ভব? হ্যা(১৯:২০-২১) না(৬:১০১)
[গ] আল্লাহ কি কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন? হ্যা(২:২৫৯,৪:১৬৪,১৯:২-১০) না(৪২:৫১)
[ঘ] আল্লাহর ১ দিন মানুষের কয়দিনের সমান? ১০০০দিন(২২:৪৭) নাকি ৫০০০০দিন(৭০:৪)
[ঙ] মুহাম্মদ কি লেখাপড়া জানতেন ? না- ( কোরান- ৭:১৫৭ ) হ্যা- (বুখারী শরীফ,৫ম খন্ড,হাদিস নং-২৫১৯ ; কোরান- ৯৬:১-৫, ২৫:৫, ৮৭:৬ )
[চ] ফেরেস্তারা কি কাউকে রক্ষা বা সাহায্য করতে পারে? হ্যা(৪১:৩১) না(২:১০৭)
[ছ] বদর যুদ্ধে কতজন ফেরেস্তা মুহাম্মদকে সাহায্য করেছিল? ৩০০০(৩:১২৪) নাকি ১০০০(৮:৯) নাকি একজনও না(১৫:৮)
[জ] ইবলিশ কি? ফেরেস্তা(২:৩৪) নাকি জ্বিন(১৮:৫০)
[ঝ] আল্লাহ কি আসলেই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল ? হ্যা(১:৩) না(৪:৫৬)
[ঞ] আল্লাহ সবকিছু ক্ষমা করে দেন ? হ্যা(৩৯:৫৩) না(৪:১১৬)
[ট] ফেরেস্তারা কি পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায় ? হ্যা(২:১০২) না(১৭:৯৫)
প্রশ্ন - উপরোল্লিখিত বিপরীতধর্মী আয়াত থেকে কি প্রমান হয়না যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে নাজিলকৃত নয় বরং এটি কোন অল্পজ্ঞানী মানুষের রচনা ?
২০. কোরান নিয়ে প্রশ্ন করলে মুসলমানরা বলে যে তাফসীর পড়লে কোরানের আয়াতের আসল অর্থ জানা যাবে । অথচ আল্লাহ কোরানে বলেছেন যে তিনি কোরানকে সহজ করে দিয়েছেন যাতে সবাই বুঝতে পারে ( কোরান ৫৪:১৭)। তাহলে কোরানের আয়াতের অর্থ বোঝার জন্য তাফসীর বা অন্য কোন বইয়ের প্রয়োজন হয় কেন ?
Share:

নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ

সালাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধাঃ
★★★★★★_★★★★★★
ছহীহ হাদীছের দাবী হল বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করা। নাভীর নীচে হাত বেঁধে ছালাত আদায় করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এর পক্ষে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সবই ত্রুটিপূর্ণ।
(১) عَنْ أَبِىْ جُحَيْفَةَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مِنْ السُّنَّةِ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(১) আবু জুহায়ফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেন, সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতার উপর হাতের পাতা রাখা।[1]
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি নিতান্তই যঈফ। উক্ত সনদে আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক নামে একজন রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ।[2] ইমাম বায়হাক্বী বলেন, ‘উক্ত হাদীছের সনদ ছহীহ বলে প্রমাণিত হয়নি। আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক্ব একাকী এটা বর্ণনা করেছে। সে পরিত্যক্ত রাবী।[3] আল্লামা আইনী হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) বলেন, ‘এর সনদ ছহীহ নয়’।[4] ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২) বলেন, এর সনদ যঈফ’।[5] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[6]
(২) عَنْ أَبِىْ وَائِلٍ قَالَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ أَخْذُ الْأَكُفِّ عَلَى الْأَكُفِّ فِى الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(২) আবী ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতের মধ্যে এক হাত আরেক হাতের উপর রেখে নাভীর নীচে রাখবে।[7]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি নিতান্তই যঈফ। ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوْفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[8] ইবনু আব্দিল বার্র এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।[9] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[10]
(৩) عَنْ أَنَسٍ قَالَ ثَلاَثٌ مِنْ أَخْلاَقِ النُّبُوَّةِ تَعَجُّلُ الْإِفْطاَرِ وَتَأْخِيْرُ السَّحُوْرِ وَوَضْعُ الْيَدِ الْيُمْنىَ عَلَى الْيَدِ الْيُسْرَى فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৩) আনাস (রাঃ) বলেন, তিনটি জিনিস নবীদের চরিত্র। (ক) দ্রুত ইফতার করা (খ) দেরীতে সাহারী করা এবং (গ) ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা।[11]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মুহাদ্দিছ যাকারিয়া বিন গোলাম কাদের বলেন, ‘এই শব্দে কেউ কোন সনদ উল্লেখ করেননি’।[12] মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ‘আমি এই হাদীছের সনদ সম্পর্কে অবগত নই’।[13] উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে না জেনেই অনেক লেখক তা দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক।[14] অবশ্য এ মর্মে বর্ণিত ছহীহ হাদীছে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই।[15]
(৪) عَنْ وَائِلِ ابْنِ حُجْرٍ فِىْ صِفَةِ صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ  قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ  يَضَعُ يَمِيْنَهُ عَلَى شِمَالِهِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতির ব্যাপারে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখতে দেখেছি।[16]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ‘নাভীর নীচে’ কথাটুকু হাদীছে নেই। সুতরাং এই অংশটুকু জাল করা হয়েছে। শায়খ মুহাম্মাদ হায়াত সিন্দী বলেন, زِيَادَةُ تَحْتَ السُّرَّةِ نَظْرٌ بَلْ هِىَ غَلَطٌ مَنْشَؤُهُ السَّهْوُ فَإِنِّىْ رَاجَعْتُ نُسْخَةً صَحِيْحَةً مِنَ الْمُصَنِّفِ فَرَأَيْتُ فِيْهَا هَذَا الْحَدِيْثَ بِهَذَا السَّنَدِ وَبِهَذِهِ الْأَلْفَاظِ إِلاَّ أَنَّهُ لَيْسَ فِيْهَا تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নীচে’ এই অতিরিক্ত অংশ ত্রুটিপূর্ণ। বরং তা স্পষ্ট ভুল। মূলেই ভুল রয়েছে। আমি সংকলকের মূল কপি দেখেছি। সেখানে এই সনদ ও শব্দগুলো দেখেছি। কিন্তু তার মধ্যে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই’।[17]
জ্ঞাতব্য : উক্ত বর্ণনা ভিত্তিহীন হলেও মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বার নামে ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে বিশুদ্ধ বলা হয়েছে।[18] যার ভিত্তি নেই তাকে বিশুদ্ধ বলার উদ্দেশ্য কি? মড়ার উপর খাড়ার ঘা?
(৫) إِنَّ النَّبِىَّ  قَالَ إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعُ الْيُمْنىَ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ.
(৫) নবী করীম (ছাঃ) বলেন, সুন্নাত হল বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে নাভীর নীচে রাখা।[19]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ উক্ত মর্মে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন বর্ণনা নেই। মদ্বীনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত ‘হানাফীদের কয়েকটি জরুরী মাসায়েল’ নামক বইয়ে উক্ত শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।[20]
বিশেষ সর্তকতা : কুদূরী ও হেদায়া কিতাবে বলা হয়েছে, وَيَعْتَمِدُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى تَحْتَ السُّرَّةِ ‘এবং ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখবে’।[21] অতঃপর হেদায়া কিতাবে দলীল হিসাবে পেশ করা হয়েছে, ‘কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কথা হল, لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعَ الْيَمِيْنِ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নিশ্চয় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা সুন্নাত’।[22] অথচ উক্ত বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই।
সুধী পাঠক! হানাফী মাযহাবের সর্বাধিক অনুসরণীয় কিতাবে যদি এভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর নামে মিথ্যা বর্ণনা মিশ্রিত করা হয়, তাহলে মানুষ সত্যের সন্ধান পাবে কোথায়?
(৬) عَنِ ابْنِ جَرِيْرٍ الضَّبِّيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِيْنِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৬) গাযওয়ান ইবনু জারীর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি আলী (রাঃ)-কে ডান হাত দ্বারা বাম হাতকে কব্জির উপর রেখে নাভীর উপর বাঁধতে দেখেছি।[23]
তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ।[24] ইমাম আবুদাঊদ বলেন, وَرُوِيَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَوْقَ السُّرَّةِ قَالَ أَبُوْ مِجْلَزٍ تَحْتَ السُّرَّةِ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ. ‘সাঈদ ইবনে জুবাইর-এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে- নাভীর উপরে হাত রাখতেন। আর আবু মিজলায বলেছেন, নাভীর নীচে হাত রাখতেন। অনুরূপ আবু হুরায়রা থেকেও বর্ণিত হয়েছে। তবে কোনটিই নির্ভরযোগ্য নয়’।[25]
(৭) عَنِ الحَجَّاجِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ أَوْ سَأَلْتُهُ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ يَضَعُ بَاطِنَ كَفِّ يَمِيْنِهِ عَلَى ظَاهِرِ كَفِّ شِمَالِهِ وَيَجْعَلُهَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ.
(৭) হাজ্জাজ ইবনু হাস্সান বলেছেন, আমি আবু মিজলাযকে বলতে শুনেছি অথবা তাকে প্রশ্ন করেছি, আমি কিভাবে হাত রাখব? তিনি বললেন, ডান হাতের পেট বাম হাতের পিঠের উপর রাখবে এবং একেবারে নাভীর নীচে রাখবে।[26]
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর সনদ বিচ্ছিন্ন।[27] যদিও কেউ তাকে ‘সুন্দর সনদ’ বলে মন্তব্য করেছেন।[28] কিন্তু ছহীহ হাদীছের বিরোধী হলে কিভাবে তাকে সুন্দর সনদ বলা যায়? [29]
(8) عَنْ أَبِى الزُّبَيْرِ قَالَ أَمَرَنِىْ عَطَاءٌ أَنْ أَسْأَلَ سَعِيْدًا أَيْنَ تَكُوْنُ الْيَدَانِ فِى الصَّلاَةِ؟ فَوْقَ السُّرَّةِ أَوْ أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ؟ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৮) যুবাইর বলেন, আত্বা আমাকে বললেন, আমি যেন সাঈদ ইবনু জুবাইরকে জিজ্ঞেস করি, ছালাতের মধ্যে দুই হাত কোথায় থাকবে? নাভীর উপরে না নাভীর নীচে? অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নাভীর উপরে।[30]
তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আবী তালেব ও যায়েদ ইবনু হুবাব নামে রাবী আছে, তারা ত্রুটিপূর্ণ।[31] মূলতঃ পরবর্তীতে এই বর্ণনার মাঝে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।[32]
(9) قاَلَ عَبْدُ اللهِ رَأَيْتُ أَبِىْ إِذَا صَلَّى وَضَعَ يَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَوْقَ السُّرَّةِ.
(৯) আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ (রহঃ) বলেন, আমি আমার আব্বাকে দেখেছি যে, তিনি যখন ছালাত আদায় করতেন তখন তিনি তার এক হাত অপর হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর উপরে রাখতেন।[33]
তাহক্বীক্ব : ইমাম আহমাদ (রহঃ) নাভীর নীচে হাত বাঁধার বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[34] সুতরাং উক্ত বর্ণনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ইমাম নববী ও আলবানী গ্রহণ করেননি।[35] ইমাম আহমাদ সম্পর্কে নাভীর নীচে ও উপরে দুই ধরনের কথা এসেছে। মূলতঃ তা সন্দেহ যুক্ত। যেমনটি দাবী করেছেন কাযী আবু ইয়ালা আল-ফার্র।[36] সুতরাং তার পক্ষ থেকে বুকের উপর হাত বাঁধাই প্রমাণিত হয়। যাকে ইমাম আবুদাঊদ ছহীহ বলেছেন।[37]
বিভ্রান্তি থেকে সাবধান :
বাজারে প্রচলিত ‘নামায শিক্ষা’ বইগুলোতে উক্ত যঈফ, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা দ্বারা নাভীর নীচে হাত বাঁধার দলীল পেশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে মাওলানা আব্দুল মতিন প্রণীত ‘দলিলসহ নামাযের মাসায়েল’ একটি। উক্ত লেখক শুধু বানোয়াট বর্ণনাই পেশ করেননি, বরং রীতি মত ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা করে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলকে যবাই করে নিজেদেরকে ‘প্রকৃত আহলে হাদীস’ বলে দাবী করেছেন।[38] কথায় বলে ‘অন্ধ ছেলের নাম পদ্মলোচন’। কারণ অন্ধ মাযহাবের মরণ ফাঁদে পড়ে কেউ আহলেহাদীছ পরিচয় ব্যক্ত করতে পারে না। এ জন্য ‘আহলেহাদীছ’ পরিচয় দেয়ার সাহস হয় না।
[1]. আবুদাঊদ হা/৭৫৬; আহমাদ ১/১১০; দারাকুৎনী ১/২৮৬; ইবনু আবী শায়বাহ ১/৩৯১; বায়হাক্বী ২/৩১। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে উক্ত মর্মে কয়েকটি হাদীছ নেই। [2]. وَقَدِ اتَّفَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى تَضْعِيْفِهِ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৪। [3]. لَمْ يَثْبُتْ إِسْنَادُهُ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْوَاسِطِىِّ وَهُوَ مَتْرُوْكٌ -বায়হাক্বী, আল-মা‘রেফাহ ১/৪৯৯। [4]. إِسْنَادُهُ غَيْرُ صَحِيْحٍ -উমদাতুল ক্বারী ৫/২৮৯। [5]. إسناده ضعيف -ইবনু হাজার আসক্বালানী, আদ-দিরায়াহ ১/১২৮। [6]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৬। [7]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [8]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [9]. ঐ, আত-তামহীদ ২০/৭৫। [10]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [11]. ইমাম ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/১৫৭; তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [12]. وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ سَنَدًا بِهَذَا اللَّفْظِ وَإِِنَّهَا عَلَّقَهُ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [13]. لَمْ أَقِفْ عَلَى سَنَدِ هَذَا الْحَدِيْثِ -ঐ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৫। [14]. মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১; নবীজীর নামায, পৃঃ ১৫০। [15]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ - حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه। [16]. তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [17]. তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [18]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [19]. হেদায়াহ ১/৮৬; হানাফীদের জরুরী মাসায়েল, পৃঃ ২৬। [20]. ঐ, পৃঃ ২৬। [21]. আবুল হুসাইন আহমাদ আল-কুদূরী, মুখতাছারুল কুদূরী, পৃঃ ২৮; হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ। [22]. হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ; নাছবুর রাইয়াহ ১/৩১৩ পৃঃ। [23]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭; বায়হাক্বী ২/৩০। [24]. যঈফ আবুদঊদ হা/৭৫৭। [25]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭। [26]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৯৬৩, ১/৩৯১; মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১। [27]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ - مقطوع لأن أبا مجلز تابعي والمقطوع لا يقوم به الحجة। [28]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০-এর আলোচনা দ্রঃ। [29]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/৬৩ পৃঃ- أن هذا قول تابعي ينفيه الحديث المرفوع فلا يلتفت إليه। [30]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৪৩৪; আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [31]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [32]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০। [33]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [34]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [35]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [36]. আল-মাসাইলুল ফিক্বহিয়াহ, ১/৩২ পৃঃ - وهذا يحتمل أن يكون ظناً من الراوي أنها كانت على السرة ويحتمل أن يكون سهواً من أحمد في ذلك। [37]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [38]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল , পৃঃ ২৪।
Share:

How Muhammad died

বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনই জানেনা যে মুহাম্মদকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল । আজ আপনাদের সেই ঘটনাই বলব । খায়বার এলাকা বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে জয়নব নামক এক ইহুদী মহিলা বকরীর মাংসে বিষ মিশিয়ে মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করেন । খানাপিনার প্রতি মুহাম্মদের অত্যধিক লোভ ছিল । আর তাই ইহুদীরা মুসলিমদের শত্রু জেনেও মুহাম্মদ এই জয়নবের কাছ থেকে খানা খাওয়ার লোভ ছাড়তে পারেননি । মুহাম্মদ জয়নবের কাছ থেকে দেওয়া মাংস মুখে দেন এবং বিষাক্রান্ত হন । বিষ খাওয়ার ঘটনাটি পাবেন-
১. বুখারী শরীফ ৯ম খন্ডের ৫৩৬২ নং হাদীসে,
২. মুসলিম শরীফ ৭ম খন্ডের ৫৫৪২ নং হাদীসে,
৩. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতে ইবনে হিশাম"- এর ২৫৭ পৃষ্টায়,
৪. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায়,
৫. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ"- এর ২য় খন্ডের ২৪৯-২৫২ পৃষ্টায়,
৬. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাত রসূলুল্লাহ"- এর ৫১৬ পৃষ্টায় ।
পাঠকের জানার সুবিধার্তে আমি মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "ইবনে সা'দ" থেকে ঘটনাটি সংক্ষেপে তুলে ধরছি ।
খায়বার বিজয়ের পর মুহাম্মদের কাছে রান্না করা বকরীর মাংস আনা হয় । জয়নব বিনতে আল হারিসা নামক এক ইহুদী মহিলা তার নিজের একটি বকরী জবাই করে রান্না করেন । তিনি খবর নেন যে মুহাম্মদ বকরীর কোন অংশটি খেতে পছন্দ করেন । তিনি খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে মুহাম্মদ বকরীর সামনের পায়ের অংশটি(foreleg) খেতে পছন্দ করেন । এরপর জয়নব একটি অব্যর্থ বিষ বাছাই করেন । পরে জয়নব বিষ নিয়ে রান্না করা বকরীর পায়ের অংশে এবং কাঁধে বেশী করে মেশালেন এবং অন্যান্য অংশেও স্বাভাবিকভাবে মেশালেন । তারপর এ মাংস মুহাম্মদের কাছে পরিবেশন করা হয় । মুহাম্মদ পরিবেশনকৃত মাংস থেকে পায়ের অংশটি(foreleg) নিয়ে মুখে দেন এবং কিছুটা চিবিয়ে নেন । এরপরই মুহাম্মদ ব্যপারটি বুঝতে পারেন এবং না খেয়ে ছুড়ে ফেলে দেন । ততক্ষনে বিষ মুহাম্মদের মুখগহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে । মুহাম্মদ সেই জয়নবকে তলব করেন । মুহাম্মদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন সে এই কাজটি করেছে । জবাবে জয়নব বলেন, মুহাম্মদ তার পিতাকে হত্যা করেছে, তার চাচাকে হত্যা করেছে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে । আর মুহাম্মদ যদি সত্যিকার অর্থে নবী হয়ে থাকেন তাহলে খাওয়ার আগেই মাংসের টুকরোটি মুহাম্মদকে বিষের উপস্থিতি জানিয়ে দিবে । আর মুহাম্মদ যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে জয়নব সহ অন্যান্য ইহুদীরা মুহাম্মদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন । মুহাম্মদের পাশে বসা বিশর ইবনে আল বারা মাংস মুখে নিয়ে গিলে ফেলেন যার ফলে সে সেখানেই মারা যায় ।
এভাবে মুহাম্মদ বিষাক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩ বছরের মত বিষযন্ত্রণা ভোগ করেন( Ibn Sa'd, vol-2, page-252) ।
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণা নিয়ে যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন এক মহিলা মুহাম্মদকে দেখতে আসেন । মু্হাম্মদ এই মহিলাকে বলেনঃ হে বিশরের মা, তোমার ছেলে বিশরের সাথে খায়বরে আমি যে গ্রাসটি মুখে তুলেছিলাম তার বিষক্রিয়া এখনো আমি অনুভব করছি । আমার প্রাণরগ ফেটে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা ভোগের স্বীকারোক্তিমূলক এই বর্ণনা পাওয়া যাবে -
১. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "সীরাতুন নবী"- এর ৩য় খন্ডের ৩৫৬ পৃষ্টায়,
২. মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ "আল তাবারি"-এর ৮ম খন্ডের ১২৪ ও ১২৫ পৃষ্টায় ।
মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশা বর্ণনা করেছেনঃ "মুহাম্মদ মারা যাওয়ার আগে আমি দেখেছি যে, মুহাম্মদের নিকটে একটি পানির পাত্র থাকত । তিনি পাত্রের ভিতর হাত ঢুকিয়ে এরপর পানি দিয়ে নিজের মুখ মুছতেন এবং বলতেন যে, "হে আমার পালনকর্তা ! আমাকে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য কর । "
( আল তাবারি, ৯ম খন্ড, পৃষ্টা- ১৮১ )
হাদীস থেকে জানা যায় বিষের প্রভাবে মুহাম্মদের পায়ে প্যারালাইসিস অর্থাৎ পায়ে অবশতা চলে এসেছিল । মুহাম্মদ তাঁর চাচাত ভাই আলী ও অন্য এক সাহাবীর কাঁধে হাত রেখে চলাচল করতেন । এসময় মুহাম্মদের পা মাটিতে হেঁচড়াচ্ছিল ( বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
মুহাম্মদ বিষের যন্ত্রণা কমানোর জন্য প্রায় সময় "সূরা ইখলাস", "সূরা ফালাক", "সূরা নাস" পাঠ করে নিজের গায়ের উপড় ফুক দিতেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩৩৭) ।
কিন্তু এতেও মুহাম্মদ বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হলেননা ।
মুহাম্মদের রোগযন্ত্রণা যখন আরো বৃদ্ধি পেল মুহাম্মদ বলেছিল যে, তাকে যেন ৭ কুয়ার পানি এনে তাঁর মাথায় ঢালা হয় যেন তিনি সুস্থ হয়ে আগের মত তাঁর লোকের মাঝে ফিরে আসতে পারেন(বুখারী শরীফ, ৯ম খন্ড, হাদীস নং-৫৩০৫) ।
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই । মুহাম্মদ যখন মক্কায় ইসলাম প্রচার করত তখন মক্কার কুরাইশরা কোরানের আয়াতকে বিশ্বাস করতনা । কুরাইশরা বলত যে, মুহাম্মদই কোরানের আয়াত রচয়িতা । কুরাইশদের এ সন্দেহ দূর করার জন্য এ সময় কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত নাজিল হয় যেখানে আল্লাহ বলছেন যে, সে( অর্থাৎ মুহাম্মদ) যদি আল্লাহর নাম ভাংগিয়ে কোন আয়াত রচনা করত তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের ডানহাত ধরে ফেলত এবং মুহাম্মদের প্রাণরগ(Life Artery) কেটে দিত । এবার এই ৩টি আয়াতের ইংরেজী অনুবাদ দেখুন -
(44) And if he (Muhammad SAW) had forged a false saying concerning Us.
(45) We surely would have seized him by his right hand (or with power and might),
(46) And then we certainly would have cut off his life artery (Aorta).
মুহাম্মদ বিষযন্ত্রণায় যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন আয়েশাকে বলেছিলেন যে, "ওহ আয়েশা, খায়বারে আমি যে(বিষযুক্ত) খাবারটি খেয়েছিলাম সে খাবারের কারণে আমার যেরকম ব্যথা হচ্ছে মনে হচ্ছে কেউ আমার প্রাণরগ(Life Artry) কেটে দিয়েছে ।"(Sahih Bukhari 5:59:713)
তাহলে কোরানের ৬৯:৪৪-৪৬ নং আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মদই কোরানের রচয়িতা ।
অবশেষে মুহাম্মদ স্ত্রী আয়েশার ঘরে এবং আয়েশার কোলে চোখ বিস্ফোরিত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন( সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্টা নং- ৩৫০) ।
আচ্ছা, চলুন, এবার কিছুক্ষণ কোরান পাঠ করি ।
আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু(কোরান-২:১৭৩)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের প্রতি দয়ালু হলেননা কেন?
আল্লাহ তা’আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন(কোরান-২:১৮০)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগেভাগে জানলেননা কেন?
আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়(কোরান-২:২১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদকে করুণা করলেননা কেন?
আল্লাহ সর্বজ্ঞ(সব জানেন)(কোরান-২:২৬১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ বিষ খাওয়ার ঘটনাটি আগে জানতে পারলেননা কেন?
আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল(কোরান-৮:১৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কাফের জয়নবের চক্রান্তের কাছে পরাজিত হলেন কেন?
আল্লাহ সুকৌশলী(কোরান-৮:৭১)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহর কৌশল কাফের জয়নবের কৌশলের কাছে পরাভূত হয় কি করে?
তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন(কোরান-৮:৭২)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদের বিষ খাওয়ার ঘটনাটি দেখলেননা কেন?
তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত(কোরান-৯:১৬)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ কেন এই ঘটনাটি আগেভাগে অবহিত হলেননা ?
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল(কোরান-২:১৪৮)
প্রশ্ন- তাহলে আল্লাহ এখানে নিজের ক্ষমতা দেখাতে পারলেননা কেন ?

সংগ্রহঃ Rag Pigan
সৌজন্য:- Sourangshu Pal
Share:

Popular Posts

About Me

My photo
Hi Friends, I m Shahadat . This Is My Personal Blog Where I Will Share Tech,News,Offers Of Any Operator and Free Net Tricks. I love to know & share my knowledge with you all. I m Also Simple Böy Like You All and a singer. I am fan of SONU NIGAM. Just Study in Collage. I want past my best time with my friends. All Time Visit Our Site .
Powered by Blogger.

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.